‘সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন নতুন প্রজন্মকে রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদক কেনা-বেচায় সম্পৃক্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। বয়সন্ধি ও কিশোর বয়সে পৃথিবীটাকে স্বপ্নীল মনে হয়। এ সময় কোন বাধা মানতে মন চায় না। ভালো-মন্দ বিচার বিবেচনা কাজ করে না। তাই এই সময়টাতে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের সঠিক গাইড পেলে প্রত্যেক সন্তান সন্তানাদির জীবন সুন্দর ও আলোকিত হয়ে গড়ে উঠবে। তিনি সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ ও ইভটিজিংকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘৃন্য কর্মকা-ের সাথে জড়িত ব্যক্তি সে যে দলেরই নেতা-কর্মী হউক তাদেরকে প্রতিরোধ ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

মেয়র আজ রবিবার সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ সিপিডিএল প্যারাগন কমিউনিটি সেন্টারে দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন শৃংখলা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম। সভায় বক্তব্য রাখেন কায়সার নিলুফার কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মো. ওমর ফারুক, লামাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরীদউদ্দিন, ঘাটফরহাদবেগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত উল্লাহ কাজেমী, টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বেলায়েত হোসেন, মহল্লা সরদার শওকত আকবর বাবুল, এস এম শাহআলম, এ কে এম আবু বক্কর সিদ্দীকি, আবু তৈয়ব সিদ্দীকি, সুফিয়ান সিদ্দীকি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দেওয়ান বাজার আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হারুন।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ নির্মূলে সারাশী অভিযান শুরু করেছে। আমাদের এই কার্যক্রমে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতিতে না জড়ায়। মেয়র পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের আচার-আচরণ ও সার্বিক কাজে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোন পরিবারের একজন সুসন্তানের সার্বিক কাজের ইতিবাচক প্রভাব সমাজে অবশ্যই পড়বে। তাই অভিভাবকদের দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য।