গ্লোবের ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের তিনটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর তালিকাভুক্ত করা হয় বলে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড শনিবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

টিকাগুলোর নাম হলো- DNA plasmid vaccine, Adenovirus Type 5 Vector এবং D614G variant LNP-encapsulated mRNA। তিনটি ভ্যাকসিনই প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই তালিকায় সব ভ্যাকসিনই প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব কোম্পানির ভ্যাকসিন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনসহ মোট ১৫৬টি কোম্পানির ভ্যাকসিন স্থান পেয়েছে।

গ্লোবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি ভ্যাকসিনের নাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় রয়েছে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে আমাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট রয়েছে। শুধু গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় স্থান পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন তালিকাভুক্ত হওয়াটা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এটা আমার জন্যও অনেক গর্বের বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাম তিন-তিনবার উল্লেখিত হয়েছে, এই গর্ব শুধু একজন গবেষক হিসেবে আমার না, সারা বাংলাদেশের।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর গ্লোব জানায়, গ্লোব সফলভাবে প্রাণিদেহে তাদের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে, এখন হিউম্যান ট্রায়ালে যওয়ার জন্য প্রস্তুত। ওই দিন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে ভ্যাকসিন আসবে।

এর আগে গত ২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি করোনাতে তাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা দিয়ে জানায়, গত ৮ মার্চ থেকে তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।