ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেছেন

কাজল শীল (৪৮) দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন ওআর নিজাম রোডের ইম্পালস সেলুনে। দুই মাস আগে তিনি কাতালগঞ্জ এলাকায় হেয়ার পার্ক নামে একটি সেলুন চালু করেন।
আর এতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কাজল শীলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন রতন শীল (৪০) ও অজিত শীল (৩৮)। কিন্তু কাজল শীলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেছেন। ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।

গ্রেফতার রতন শীল ওআর নিজাম রোডের ইম্পালস সেলুনের কর্মচারী ও অজিত শীল কাজল শীলের মালিকানাধীন হেয়ার পার্ক সেলুনের কর্মচারী। রতন শীলে বাড়ি চন্দনাইশ ও অজিত শীলের বাড়ি বাঁশখালীতে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, কাজল শীল দীর্ঘদিন ওআর নিজাম রোডের ইম্পালস সেলুনের কর্মচারী ছিলেন। দুই মাস আগে তিনি কাতালগঞ্জ এলাকায় হেয়ার পার্ক নামে একটি সেলুন চালু করেন। এতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কাজল শীলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন রতন শীল ও অজিত শীল।

ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার ৫০ পিস ইয়াবা সংগ্রহ করেন রতন শীল ও অজিত শীল। পরে কাজল শীলের মালিকানাধীন হেয়ার পার্ক সেলুনের কর্মচারী অজিত শীল ইয়াবাগুলো হেয়ার পার্ক সেলুনে কাগজে মুড়িয়ে শ্যাম্পু ব্লেডের পাশে রেখে দেন। কিন্তু পুলিশ ইয়াবা বিক্রির বিষয়ে আগেই জানতে পারে। রতন শীলকে গ্রেফতারের পর তার কাছে জানতে পারি তারা ইয়াবা কিনেছিলেন কাজল শীলকে ফাঁসানোর জন্য। রতন শীলের তথ্য অনুযায়ী অজিত শীলকে গ্রেফতার ও তার দেখানো মতে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রতন শীল ওআর নিজাম রোডের ইম্পালস সেলুনের কর্মচারী ও অজিত শীল কাজল শীলের মালিকানাধীন হেয়ার পার্ক সেলুনের কর্মচারী।