স্যানিটাইজার, ওষুধ ও মাস্কের মান নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান

হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ওষুধ ও মাস্কের মান নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন।

তিনি বলেন, খাদ্য, ওষুধ, নিত্যপণ্যে জরিমানার পাশাপাশি জেল দিতে হবে।
যাকে জরিমানা করবেন তার অপরাধের তালিকা করে ফলোআপ করতে হবে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ৫১তম বিশ্ব মান দিবসের আলোচনা সভায় তিনি বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এ সভা আয়োজন করে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পৃথিবী সুরক্ষায় মান’।

বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু হাসান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন বিএসটিআইর উপপরিচালক শওকত ওসমান।

এসএম নাজের হোসাইন বলেন, টক অব দ্যা কান্ট্রি হচ্ছে- ৬০ টাকা হয়েছে আলু। চালের দাম বেশি। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পর খাতুনগঞ্জে অভিযান চালালো, পরদিন আড়তে বিক্রি বন্ধ করে দিলেন ব্যবসায়ীরা।

আইন বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বিএসটিআই সম্প্রতি কিছু অভিযান চালিয়েছে। আমরা বলছি, বাজার তদারকি দৃশ্যমান করতে হবে। সব দোকান, বাজার, কারখানা তদারকির আওতায় আনতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা সব পণ্য চট্টগ্রামের ল্যাবে পরীক্ষা সম্ভব হলে আমদানিকারক ও ভোক্তারা উপকৃত হবেন। বিএসটিআই এর ১৮১টি পণ্যের মধ্যে খাদ্য গুরুত্ব পায়। কসমেটিকস ও কাপড়ের দোকানে ভোক্তারা ঠকছেন।

মো. সেলিম রেজা বলেন, শিল্পোন্নয়ন ছাড়া দেশের রফতানি আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের বেশিরভাগ আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি-রফতানি সহজতর করতে বিএসটিআই ল্যাবের মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বিএসটিআই অনুমোদিত ডিজিটাল স্কেলে ৩ কেজি পণ্যের মধ্যে ২ কেজি দিচ্ছে। এরা সংখ্যায় অল্প। শুধু আইন নয়, সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। বাজারে ডায়িং কালার পাই। সেই রং খাবারে মিশিয়ে ভালো খাবার দূষিত করে খাচ্ছি।

ক্যাব দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, তিনটি পানি কোম্পানি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য চলছে, বাংলাদেশে এত পানি কোম্পানির অনুমোদন কেন দেবে বিএসটিআই?

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ক্যাব পাঁচলাইশ শাখার সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, এসএ সবুর, মো. আকতারুজ্জান, জয়নাল আবেদিন রানা, মধু গবেষক সৈয়দ মোহাম্মদ মাইনুল আনোয়ার প্রমুখ।