নাসার চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের টিম

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের টিম অলিক। বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটেগরিতে তাদের প্রজেক্ট ‘লুনার ভিআর’ সারা বিশ্বের ১৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়। ‘লুনার ভিআর’ প্রজেক্টটি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন।নাসার সরবরাহ করা বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা অ্যাপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমন, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে টিম অলিক।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পক্ষ থেকে অংশ নেওয়া দলটির সদস্যরা হলেন, সাব্বির হাসান, আবু সাবিক মাহদি, বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী, কাজী মাইনুল ইসলাম, এস. এম. রাফি আদনান।শাবি ক্যাম্পাসে আসার পরপরই তারা একত্রে কাজ করা শুরু করেন। প্রথম দিকে থ্রিডি এনিমেশন নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে গেইম, ভিজুয়াল ইন্টারঅ্যাক্টিভ ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ে। দুই বছর ধরে গেইম নিয়ে এবং এক বছর যাবৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের যুগ্ম আহব্বায়ক আরিফুল হাসান অপু টেকশহরডটকমকে বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এর মাধ্যমে আমরা নাসায় বড় একটা জায়গা করে নিতে সক্ষম হলাম। আমাদের ছেলেদের যোগ্যতা আছে তার প্রমাণও এটা। তাই তাদেরকে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারলে আমরা একদিন দেশের তরুণদের দিয়েই মহাকাশে রকেটসহ মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম হবো।গত ডিসেম্বরেই জানা যায়, ছয় ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫ দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ‘টিম অলিক’।বাংলাদেশ থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প থেকে ৪০টি প্রকল্প জাতীয় পর্যায়ে হ্যাকাথনে অংশ নেয় অক্টোবরে। সেখান থেকে আটটি দলকে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয় যারা চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়