সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলা যেন বই মেলা


বাংলাদেশের বইমেলা একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিগণিত হয়। এবারের বইমেলায় একটা অত্যন্ত চমকপ্রদ ব্যাপার ঘটেছে স্বাধীনতার পর এ প্রথমবারের মতো সম্মিলিত ভাবে ফেব্রুয়ারী মাসে একক বই মেলা হচ্ছে। মেলায় গুরুগম্ভীর বয়স্ক মানুষ, কম বয়সী, তরুণ-তরুণী, দলবেধে বন্ধু বান্ধব, বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট ছোট ছেলেমেয়েও এসেছে। প্রত্যেকের ভাবভঙ্গি-চালচলন আলাদা। আজ যেন পুরো চট্টগ্রাম মেলা প্রঙ্গণে এসছে, পা ফেলার জায়গাও নেই। রীতিমতো উৎসব উৎসব আমেজ। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই কেনা নতুন বইয়ের ব্যাগ। মানুষ এত বই পড়ে ভাবতে ভালো লেগেছে।

পড়ার সবচেয়ে প্রাচীন, জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে বই। বই জ্ঞানের আধার। পৃথিবীর সকল জ্ঞান বইয়ের পাতায় ঘুমিয়ে থাকে। কোনো পাঠক যখন বইয়ের পাতা খোলে তখন ঘুমন্ত জ্ঞান জেগে ওঠে, কথা বলতে শুরু করে পাঠকের সাথে। জ্ঞানের আলো তখন পাঠককে আলোকিত করে, পাঠকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব চরাচরে। তাই মনে হলো একুশের শ্রেষ্ঠ অর্জন হলো এই বইমেলা। বাঙালি সবকিছুতেই একটু হৈ চৈ করতে পছন্দ করে। তো হৈ চৈ করেই না হয় চলুক বইমেলা!