নিউজডেস্ক: অতিরিক্ত ৬৫ দিন মাছ ধরার প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ১১ টায় চট্টগ্রামের ফিশারীঘাট এলাকায় সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বক্তব্যে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী ও বোট মালিক সমিতির মহাসচিব আমিনুল হক সরকার বলেন, সারাদেশে ৬০ হাজার জেলে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে, তার মধ্যে চট্টগ্রামে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার জেলে এ মৎস্য আহরণের উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু সরকার থেকে ঘোষণাকৃত ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকার জন্য মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয় অর্থাৎ এ সময়ে ইলিশের প্রজনন সময়ে আমরা মাছ ধরা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকি। এরপর শুরু হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আবার এর মধ্যে প্রতিমাসে কয়েকবার করে সামুদ্রিক বিপদ সংকেত দেখানো হয়।
আবার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত যান্ত্রিক নৌযান দ্বারা পূর্ব নির্ধারিত নিয়মানুসারে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ অব্যাহত রাখার জন্যও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এতে মাছ আহরণ করতে না পারার কারণে কষ্টে পড়ে যান হাজার হাজার জেলে।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরার জন্য যে জাল (ভাসান জাল) দেয়া হয়েছে সেটাতে নির্দিষ্ট সাইজ ব্যতিত অন্য কোন মাছ ধরা পড়ে না। সরকারি হিসেবে ১০ হাজার মৎস্য আহরণকারীকে ভাসান জাল দেয়া হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা ৬০ হাজারের অধিক। তাদেরকেও যদি সরকারি আওতায় নিয়ে আসা হয় তাহলে সরকার এবং ভাসান জাল ব্যবহারকারী উভয়েই সার্বিকভাবে উপকৃত হবে।
মানববন্ধনে মোহাম্মদ নুর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সিরাজ ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহমুল আলম, জসিম উদ্দিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বিমল কান্তি দাশসহ কয়েক শত মৎস্যজীবী অংশ নেন।