বিশ্বব্যাপী বেতার একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে সহজলভ্যতার কারণে মানুষের কাছে বেতার একটি গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালির যাত্রাপূর্ব সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বিশ্ব বেতার দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য।
বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আয়োজনে র্যালিতে আঞ্চলিক পরিচালক মো. আবুল হোসেনসহ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. গোলাম মাওলা, বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বার্তা নিয়ন্ত্রক গোপাল চন্দ্র দেব উপস্থিত ছিলেন।
ইউনেস্কো ২০১২ সাল থেকে বিশ্ব বেতার দিবস পালন করে আসছে। এবারের বিশ্ব বেতার দিবস-২০১৯ এর প্রতিপাদ্য ‘সংলাপ, সহনশীলতা এবং শান্তি।’
বিশ্ব বেতার দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য।প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশ, জাতি-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত ও হানাহানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সব সংঘাত যুদ্ধ বিগ্রহের মূল কারণ। শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংলাপ ও সহনশীল মনোভাবের বিকল্প নেই। প্রচার কার্যক্রমে এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ বেতার দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করে আসছে। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ বেতার হয়ে উঠেছে শিল্পী তৈরির প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ১৫টি মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার, ৩টি শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটার, ৩২টি এফএম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ৬টি বিশেষায়িত কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪৪৯ ঘণ্টার সম্প্রচার কার্যক্রম চলছে।