চট্টগ্রামের সড়ক যানজট মুক্ত রাখার আহবান চসিক প্রশাসকের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপররূপ লীলাভুমি এই চট্টগ্রাম। পাহাড়,সমুদ্র ও সবুজ এই নগরকে করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষনীয় স্থান। কিন্তু বর্তমানে অপরিকল্পিত নগরায়ন ও সড়ক সমূহের করুন দশায় এই অর্জন ¤øান হতে চলেছে। এথেকে উত্তোরনে চাই সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতা। আজ সকালে টাইগারপাস্থ চসিক নগরভবনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসলে প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি ট্রাফিক পুলিশকে আরো আন্তরিকতার সাথে চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটে যানজট মুক্ত রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ তাঁদের নিজকর্মগুনে আপামর জনসাধারনের মনে জায়গা করে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে আইনশৃংখলা বজিয়ে রেখেছে। সেই সাথে সুনাম কুড়িয়েছে মানবিক পুলিশের খ্যাতিতে। আমরা লক্ষ্য করেছি বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত সাহসিকতা ও আন্তরিকতায় দেশের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বে অদ্বিতীয়। এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী,উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক(পশ্চিম) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(পশ্চিম) সুত্র ধর, উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক(উত্তর) মিলন মাহমুদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন। এসময় তাঁরা নগরীতে ট্রাফিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করে বলেন,নগরীতে ট্রাফিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত বর্ষনের কারনে সড়কে খানা-খন্দকের সৃস্টি হয়েছে তা মেরামত, বাস টার্মিনাল না থাকার কারনে যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এর দরুন যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এ থেকে পরিত্রানের জন্য বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানান। এছাড়াও জব্দকৃত অবৈধ গাড়ী সমূহ ডাম্পিং করার জন্য ডাম্পিং স্টেশন তৈরীসহ পোর্ট এক্সেস রোড(টোল রোড)-এ দূর্ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত সড়ক বাতি লাগানো ও আগ্রাবাদস্থ সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের সামনে রোড ডিভাইডার স্থাপনের অনুরোধ জানালে প্রশাসক অতি সহসায় এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ করেন।