সাহস নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে মাদার অব ডেমোক্রেসি। সরকার বেগম জিয়াকে ভয় পায় বলেই প্রতিহিংসার বিচারে তাকে জেলে বন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র সমার্থক। দেশের হারানো গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সাহস নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তিনি আজ ৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে তিনি আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ। এই তামাশার নির্বাচনে ২৯ তারিখ রাতেই ভোট শেষ হয়েছিল। জালিয়াতির এ নির্বাচন সরকারী দলের জন্য গৌরব ও মর্যদার নয়, বরং লজ্জা ও কলংকের। দিনের ভোটকে আওয়ামীলীগ ভয় পায়।মানুষের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যে প্রহসনের নির্বাচন করা হলো তা নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ মহাজালিয়াতির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে। তিনি অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন ঘোষণার দাবী জানান। এ সমাবেশ থেকে কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবী জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, অনেকে বলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ, আমরা বলছি তারা হতাশ নয়, মনক্ষুন্ন ও বিক্ষুব্ধ। দেশের জনগণ একদিন এই মনক্ষন্নের জবাব রাজনৈতিকভাবেই দেবে। বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জনগণের কাছে নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে বিরোধীদলবিহীন একটি দেশে পরিণত করেছে। এ কারণে রাজনীতিতে একটা বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য অতিদ্রুত দল পুনর্গঠনের কর্মসূচি সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক শাহেদ বক্স, জি. এম আইয়ুব খান, আইনবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরওয়ার আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হামিদ হোসেন, কুঠির শিল্প সম্পাদক আবদুল নবী প্রিন্স, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি মো. হানিফ সওদাগর, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম সম্পাদক আবু মুসা, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহিন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সদস্য মনজুরুল কাদের মিন্টু, শাহেদা বেগম, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, নগর মহিলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নগর তাতীঁ দল সভাপতি মো. জাহাঙ্গির আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, হাজী মো. ইলিয়াছ, ফারুক আহমদ, হুমায়ুন কবীর সোহেল, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, মনজুর মিয়া, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, নগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মানিক, সহ-সম্পাদক রাসেল নিজাম, গুলজার হোসেন, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম, মো. রিয়াদ, নগর ছাত্রদল নেতা মো. মিল্টন, সাইফুল আলম, সৌরভ প্রিয় পাল, সৈয়দ সাফওয়ান আলী, কামরুল ইসলাম কুতুবী, এন মোহাম্মদ রিমন, যুব নেতা মাহবুব খালেদ, মো. শফি প্রমুখ।