নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে অভিযান শুরু হয়। এদিন, চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় আনু মাঝির ঘাটের দুইপাশ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান মুক্ত এবং তৌহিদুর ইসলাম পৃথকভাবে দু’পাশ থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
তাহমিলুর রহমান মুক্ত জানিয়েছেন, গত পাঁচদিনের অভিযানে কমপক্ষে ১৭০ থেকে ১৮০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাঁচটি খালের প্রবেশমুখ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৭ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা দখলমুক্ত হয়েছে।
আজকের (শুক্রবার) মধ্যে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকায় দখলদারদের প্রায় ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্ভব হবে। এর ফলে নগরীর সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকা প্রায় অবৈধ দখলমুক্ত হবে।
সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রথম ধাপ হিসেবে চিহ্নিত করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছিল জেলা প্রশাসন।
তাহমিলুর রহমান মুক্ত বলেন, ‘পাঁচটি খালের প্রবেশপথ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এসব খাল দখল হতে হতে নালায় পরিণত হয়েছিল। এজন্য জলাবদ্ধতা হত। উচ্ছেদের পর খালকে যদি পুরনো আকৃতিতে ফেরানো যায়, জলাবদ্ধতাও কমে যাবে।’
এদিকে আনু মাঝির ঘাটের আশপাশের এলাকায় নদীর পাড়ে নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আরও কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস, কণর্ফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, র্যাব-পুলিশ।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের নিযুক্ত ১০০ জন শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে কাজ করছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে ২১১২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত তিন বছরে স্থাপনা আরও বেড়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসনের।