খোলা তেল বোতলজাত করে বিক্রি করে আসছিলো সাকসেস

চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকা থেকে খোলা তেল কিনে সেই তেল বোতলজাত করে বিক্রি করে আসছিলো সাকসেস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

একই কারখানার ভেতর নবান্ন ও গৃহীণি নামে দুইটি ব্র্যান্ডে তেল বোতলজাত করছিলো তারা।
বোতলের স্টিকারে ব্যবহার করা হচ্ছিলো বিএসটিআই’র লোগো। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিরই কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিলো না।

রোববার (৯ আগস্ট) চাঁন্দগাও থানাধীন বাহির সিগন্যাল মোহরা শিল্প এলাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই’র যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে এমন জালিয়াতি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত সাকসেস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানাটি সিলগালা করে দেন।

এ সময় কারখানার ভেতরে পাওয়া দুই ড্রাম অস্বাস্থ্যকর তেল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার দুপুরে কারখানার ভেতর ঢুকে দেখা যায়, নিজেরা বোতলের উপর স্টিকার লাগিয়ে একই তেল নবান্ন ও গৃহিণী নাম দিয়ে বোতলজাত করছিলো।

সরাসরি চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ থেকে ড্রামে করে কিনে আনা তেল কোনো প্রকার পরিশোধন ছাড়াই বোতলজাত করা হচ্ছিলো। কারখানাটির মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো স্টিকার লাগানো বোতল।

ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, খোলা তেল বাজার থেকে কিনে এনে সরাসরি বোতলজাত করে বিক্রি করে আসছিলো সাকসেস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিএসটিআই’র কোনো অনুমোদন না থাকলেও স্টিকারে বিএসটিআই অনুমোদিত লোগো ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলো তারা।

নানা অনিয়ম পাওয়ায় সাকসেস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।

র‌্যাব-৭ এর চাঁন্দগাও ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শামীম সরকার বলেন, প্রায় এক বছর যাবত সাকসেস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ থেকে খোলা তেল ড্রামে করে কিনে এনে বোতলজাত করে বিক্রি করে আসছে। এসব তেল বাজারে বিক্রি করে আসছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিক্ষর।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়ার পর তাদের প্রতি র‌্যাবের নজরদারি ছিলো বলে জানান তিনি।