পয়নিস্কাশন উম্মুক্ত ড্রেনে: দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষের নজর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটিয়া পৌরসভার বাহুলী গ্রামে বাড়ীর সেপ্টিকট্যাঙ্কের পয়নিস্কাশন পৌরসভার উম্মুক্ত ড্রেনে সংযোগ দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের পরিবেশ দূর্গন্ধে ভারী হয়ে ওঠেছে। এমনকি খোলা ড্রেনে পয়নিস্কাশন ব্যবস্থার কারণে স্থানীয় মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। এমন অভিযোগ ওঠেছে একই এলাকার নজরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া পৌরসভার সাবেক কমিশনার মুন্সি মিয়া সওদাগরের পুত্র কামরুল ইসলাম পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ৫ ফেব্রুয়ারী লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগে তিনি গত ২৯ জানুয়ারী পটিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবরও একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী কামরুল ইসলাম আরো জানান এ বিষয়ে পটিয়া পৌরসভার সচিব মোহাম্মদ মহসিনকে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয়ার পর তিনি তা তদন্তে সরাসরি পৌরসভার একজন সুইপারকে পাঠালে তিনি ঘটনার সত্যতা পান। পরবর্তীতে কয়েকজন সুইপারকে নালাটি পরিষ্কার করতে পাঠালে তারা ষ্পষ্ট দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা ও পানি দেখায় তা পরিস্কার করতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং নালা পরিস্কার না করেই ফিরে আসে। এদিকে এ নালা দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল করলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি জমে থাকায় দূর্গন্ধ ব্যাপক আকার ধারণ করে। এতে এলাকারবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায় পটিয়া পৌরসভার বাহুলী গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডস্থ কমিশনার বাড়ী সংলগ্ন হযরত আবদুল মোনাফ শাহ্ (র:) এর মাজার এবং আলহাজ্ব রমিজ আহমদ মসজিদ এবং গুলজান খাতুন মাদ্রাসার পার্শ্বে ওই এলাকার নজরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামের বাড়ী রয়েছে। বাড়ির পাশেই পৌরসভার নির্মিত পানি চলাচলের ড্রেন। ওই উম্মুক্ত ড্রেনের সাথেই পাইপযোগে নজরুল ও নুরুল ইসলামের বাড়ির সেপ্টিকট্যাঙ্কের দূর্গন্ধযুক্ত পানি ও ময়লা নির্গমন হচ্ছে। এতে মারাত্মক দূর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠেছে। আরো জানাযায় ইতিপূর্বে একই অভিযোগে পৌরসভার মেয়রকে অভিযোগ দেয়া হলেও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, লিখিত অভিযোগটি পাওয়া গেছে। এটি স্থানীয় কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যাথে উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সুরাহা করা হয়।