গর্জনিয়ায় লাঠিছড়ি খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ

রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজানের ১ নং হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া রাবার বাগান থেকে প্রবাহিত হয়ে লাঠিছড়ি খালটি গর্জনিয়া, আমির হাট হয়ে ডাবুয়া ইউনিয়নের লাঠিছড়ি হয়ে পশ্চিম ডাবুয়া এলাকা হয়ে সর্তা খালের সাথে মিলিত হয়েছে । লাঠিছড়ি খাল দিয়ে বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবাহিত হয় । শুস্ক মৌসুমে লাঠিছড়ি খালের পানি সেচের মাধ্যমে ব্যবহার করে এলাকার কৃষকেরা বোরো ধান ও রবিশষ্যের চাষাবাদ করে । খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত কয়েক বৎসর ধরে বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবাহিত হতে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি হয়ে এলাকা জলবদ্বতা সৃষ্টি হয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হলদিয়া ভিলেজ রোড সহ এলাকার মানুষর বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয় । রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ভরাট হওয়া খালটি হলদিয়া এয়াসিন শাহ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশর্^ থেকে গজর্নিয়া বেলালের বাড়ীর উত্তর পাশ^ পর্যন্ত খনন করা হয় । গর্জনিয়া এলাকায় যে স্থানে খাল খনন কাজ শেষ করা হয়েছে তার উত্তর ও পুর্বে হলদিয়া ভিলেজ রোডের পাশে লাঠিছড়ি খালটি ভরাট করে গর্জনিয়া এলাকার রাশেদ নামে ্ক প্রভাবশালী ব্যক্তি পাকা ভবন নির্মান করে। খাল ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান করার ফলে খাল খনন করার পর ও বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবাহিত হতে প্রতিবন্দ্বতার সৃষ্টি হয়ে আবারো জলবদ্বতা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা করছে এলাকার লোকজন । হলদিয়া ইউনিয়নর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম বলেন, লাঠিছড়ি খাল ভরাট করে রাশেদ পাকা ২তলা পাকা ভবন নির্মান করেছে । লাঠিছড়ি খাল ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান করায় বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ী ঢলের শ্রোতের পানি প্রবিহিত হতে পারেনা । খাল ভরাট করে নির্মান করা পাকা ভবন খাল থেকে উচ্ছেদ করে লাঠিছড়ি খাল ডাবুয়া ইউনিয়নের অংশ সহ খাল খনন করা হলে বর্ষার মৌসুমে এলাকার লোকজন জলবদ্বতার অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবে বলে হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম দাবী করেন । লাঠিছড়ি খাল ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান কারী রাশেদকে কয়েক দপে তার মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে ও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় রাশেদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।