নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে অবৈধ স্থাপনায় ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান অভিযান শেষে সেখানে বৃক্ষরোপন করেছে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রামের লাইফলাইন খ্যাত এ কর্ণফুলীকে বাঁচাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ অভিযানে প্রথম দিনেই ৪ একর জায়গার ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর্ণফুলীর পাড়ে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
আগামীকাল ( ৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে সমাপ্তির স্থান থেকে পুনরায় অভিযানের শুরু হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিনে ৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সে জায়গায় বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। ৫০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ৩৮ টি অবৈধ স্থাপনা নিজেরাই সরিয়ে নেয় বলে জানান তিনি। দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার ( ভূমি) তাহমিলুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সীমানা নির্ধারণ করে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জেলা প্রশাসন। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অর্থ সংকুলান না হওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। অবশেষে ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অর্থ সংস্থানের পর এবার অভিযান শুরু হয়েছে।