নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির পুনর্নির্বাচন দাবিকে বাচ্চাসুলভ আবদার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়নে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ফুটবল ম্যাচে কোনো দল ১০ গোল খেয়ে হেরে যাওয়ার পর যদি আবার খেলার আবদার করে, তবে তা কেবল ছোট্ট শিশুদের কান্নাকাটি ছাড়া আর কিছুই নয়।
৫ বছর পর আবার নির্বাচনে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার ৫ বছর সফলভাবেই দেশ পরিচালনা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও আগামী ৫ বছর সরকার দেশ পরিচালনা করবে। ৫ বছর পর আবার নির্বাচন হবে।
ইতিবাচক রাজনীতি করার মাধ্যমে ৫ বছর পর আবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করারও আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জোটকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিশেষ করে যারা গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক এ আমন্ত্রণে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সাড়া দেয়নি।
তাদের সাড়া না দেওয়া খুবই স্বাভাবিক মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা নেতিবাচক রাজনীতি করে তারা এ চা চক্রে যাবেন না। যারা মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে, রাজনীতির নামে তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি অনেক বাদন্যতা দেখিয়েছেন।
যে দলের নেত্রী নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করার জন্য কেক কাটেন তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না, এটাই খুব স্বাভাবিক।
আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রবাসী নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুলের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশিরা মেধাবী। সারাবিশ্বে বাংলাদেশিরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে অনেক কিছুই করেছে।
৩টি এনআরবি ব্যাংক দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করা হয়েছে। যারা রেমিটেন্স বেশি পাঠাচ্ছে তাদের সম্মানিত করা হচ্ছে। সরকারি প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিলে সেখানে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কোটা ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
মনিরুল আলম চৌধুরী মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন প্রবাসী নেতা আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ,
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ, আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা মোহাম্মদ জমির হোসাইন প্রমুখ।