আগামী সোমবার মন্ত্রীরা শপথ নিবেন। মন্ত্রিসভায় ৫০জনের মত সদস্য থাকছেন। এজন্য মন্ত্রীদের বঙ্গভবনে শপথের জন্য নিয়ে আসতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫০টি গাড়ি।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি, শপথ হয় বঙ্গভবনে। আর তাদের নিয়ে আসে পরিবহন পুল থেকে যাওয়া গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে যেগুলো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে, সেগুলোতে পতাকার স্ট্যান্ডও যুক্ত করা হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ হাসিনাকে বৃহস্পতিবারই সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আর মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, এবারের মন্ত্রিসভায় চমক থাকছে। তবে এই চমক খোলাসা করেননি তিনি। এমনকি সংখ্যা কত হবে, সেটাও জানাননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি ৪৯ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করে যাত্রা শুরু হয়েছিল বর্তমান সরকারের। এদের মধ্যে ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত ওই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন ৫৩ জন। তবে ভোটের আগে বাদ পড়ে যান চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৪৯।
সরকারি যানবহন অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব শাহজাহান আলী বলেন, এবার কতজন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হচ্ছেন, সেটা আমরা এখনো জানি না। তবে বিগত মন্ত্রিসভার হিসাব অনুযায়ী আমরা ৫০টি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছি। যদি কলেবর এর চেয়ে বাড়ে, সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর শপথ পড়াবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন। শপথের পর দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংখ্যার কমপক্ষে দশ ভাগের নয় ভাগ সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ পাবেন। সর্বোচ্চ দশ ভাগের এক ভাগ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনীত (টেকনোক্র্যাট) হতে পারবেন বলে ৫৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাচ্ছেন, এটা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি যাদের চাইবেন, তাদেরই জায়গা হবে। নতুন করে শপথ নেওয়ার পর পরই আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।