‘শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে চসিক বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ কাজ’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থাপনায় নিমিতব্য বাস-ট্রাক টামিনালের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। পরিদর্শনকালে মেয়র বাস-ট্রাক টার্মিন্যালের স্থানের সার্বিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। এই সময় তিনি প্রকল্পটি সুষ্টুভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিমিতব্য বাস-ট্রাক টার্মিন্যাল এলাকায় ইমারত অথবা কোনো ধরণের অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন কিংবা ছাড়পত্র প্রদান না দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি এবং এলাকার জনসাধারণকে এব্যাপারে সহযোগিতা করারও আহবান জানান মেয়র।এই সময় সিটি মেয়রের সাথে ছিলেন স্বাগতিক কাউন্সিলর কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহেদ ইকবার বাবু,সাবেক কমিশনার আলহাজ্ব ফরিদ আহমদ চৌধুরী, আইইবি এর সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ,তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলহাজ্ব আবু সালেহ,কামরুল ইসলাম,মনিরুল হুদা,ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা এখলাছুর রহমানসহ চসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। স্থানীদের সাথে আলাপকালে মেয়র বলেন নগরে নিদিষ্ট কোনো টার্মিন্যাল না থাকায় যানজট সৃষ্ঠি হচ্ছে। এতে কর্মঘন্টা নষ্ঠ হয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এই বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে বাস-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এছাড়াও বন্দরের টোল প্লাজা এলাকায় আরো দু”টি বাস-ট্রাক টার্মিন্যালের নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

নগরে যানজট নিরসনে কুলগাঁও বালুছড়া এলাকায় ১৬ একর জায়গার ওপর দেশের অত্যাধুনিক বাস-ট্রাক টামিন্যাল নিমাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। জমি অধিগ্রহন ও পরিবেশ ছাড়পত্র পেলেই এই প্রকল্পটি টেন্ডারে যাবে। আগামী ফেব্রুয়ারী মাস নাগাদ এই নির্মান কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভুমি অধিগ্রহন ও পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পুন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। ১৬ একর জায়গার উপর প্রায় ২৯৭কোটি টাকা ব্যয়ে এ সর্বাধুনিক বাস-ট্রাক টামিন্যাল নিমিত হবে। ভুমি অধিগ্রহন,ভুমি উন্নয়ন,ড্রেনেজ ব্যবস্থা বহুতলবিশিষ্ঠ বাণিজ্যিক ভবণ নির্মাণ এবং আনুসাংগিক কাজ কয়েকটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। সর্বশেষ বহুতল বিশিষ্ঠ বাণিজ্যিক ভবণ নির্মাণ করা হবে। এই টার্মিনাল নির্মানের জায়গার মধ্যে সিডিএ মালিকাধীন রয়েছে আট একর । বাকী আট একর জায়গা জায়গা অধিগ্রহন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভুমি অধিগ্রহনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৫লক্ষ ৫হাজার টাকা,জমির উন্নয়ন বাবদ ৩ কোটি ৩৭লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা,বাস-ট্রাক টার্মিল্যালের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৭কোটি ৫০লক্ষ টাকা,ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইয়ার্ড নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা । চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক ও যানজট নিরসনে বাস-ট্রাক টামিন্যাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। গত ১১ই অক্টোবর-২০১৮ তারিখে এ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায়। এই টার্মিনাল থেকে দুর পাল্লার এবং আন্তঃনগর উভয় ধরণের বাস ছেড়ে যাবে। টামিনালের মুখে থাকবে চারতলা বিশিষ্ঠ নানন্দিক ভবণ। এই ভবনে সুবিধার মধ্যে প্রথম তলায় সিটি বাস টার্মিনাল,আন্তঃ নগর বাস টার্মিনাল ১টি যাত্রী নামার লেইন,২৫টি যাত্রী উঠার লেইন, ১৪টি অতিরিক্ত নামার/অপেক্ষমান লেইন, ছাদযুক্ত বৃহদাকার খোলা হল রুম এবং তথ্য কেন্দ্র, ৩টি স্থানে ৫টি লিফট, ১ জোড়া চলন্ত সিডি ,৩টি প্রশস্থ সিডি, প্রতিটি ফ্লোরে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক বৃহদাকার ওয়াস রুম (টয়লেট),২২টি টিকেট কাউন্টার, ওয়াইফাই সুবিধাসহ যাত্রীদের বসার জায়গা, লাগেজ রুম ,ট্যাক্সি বুকিং বুথ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, খাবার দোকান, ৩০টি কার এবং ট্যাক্সি পার্ক, ৬টি পেট্টলপাম্প,৬৯টি বাস ডিপো, ১৭টি ওয়ার্কসপ এবং সার্ভিসিং সেন্টার, ৪টি সাভিসিং লাইন, ৮টি রক্ষনাবেক্ষন ওয়ার্কসপ লাইন ২য়তলায় রেস্তোরা, সুভ্যেনীর সভা ,এসি বাস যাত্রীদের বসার জায়গা ৩য়তলায় বাস কোম্পানীদের ব্যবসায়ীক অফিস, টার্মিনাল ফেসেলিটিজ এবং ৪র্থ তলায় বাস কোম্পানীদের ব্যবসায়ীক অফিস,প্যানোরোমা রেষ্টুরেন্ট, বাস কর্মচারীদের বডিং এবং কমনরুম, ওয়াসরুমসহ বাস কর্মচারীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা এবং সাব স্টেশন এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টেশন রয়েছে ।