সীতাকুণ্ডে ভোটারদের মাঝে ধূম্রজাল, বিএনপির প্রার্থী কে?

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনের ধানেরশীষ প্রতীকের প্রার্থী নির্ধারিত না হওয়ায় ভোটারদের মাঝে ধূম্রজাল তৈরী হয়েছে।

আজ শুক্রবার(২৮ ডিসেম্বর)আসলাম চৌধুরীর পক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ এনে বলা হয়, সীতাকুন্ডের ভোটাররা এখনো জানেনা ধানেরশীষের মূল প্রার্থী ধানেরশীষের প্রার্থী কে তা চূড়ান্ত করা হয়নি।

তাছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকেও এখনো প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার সময় শেষ হলেও সীতাকুণ্ড আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক কে পাচ্ছেন তা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির প্রার্থী দুই ভাই মো. আসলাম চৌধুরী ও মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরীর মধ্যে ব্যালটে কার নামের পাশে ‘ধানের শীষ’ থাকবে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

আসলাম চৌধুরীর বিশেষ আমমোক্তার নামা মূলে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসহাক কাদের চৌধুরীর ছেলে মো. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় কারাগারে থাকা আসলাম চৌধুরীর কর আইনজীবী সৌরভ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

মো. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন রিটানিং অফিসার বাতিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করা হয়। ৫ ডিসেম্বর প্রথমে প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হলেও রাত ৩টায় আবেদন না মঞ্জুর হয়।

এরপর হাইকোর্ট ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন। এরপর নির্বাচন কমিশন আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে প্রার্থিতা বহাল রাখেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলমও একজন ঋণখেলাপি। সৌরভ হোসেন বলেন, আমরা এখনো জানি না সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী কে। তাই প্রচার-প্রচারণায়ও বিভ্রান্তিতে রয়েছি।

শাহরিয়ার উপরোক্ত বিষয় তদন্ত করে প্রার্থী দিদারুল আলমের প্রার্থীতা স্থগিত করে এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমার চাচা আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাছাই পর্বে রিটার্নিং অফিসার অবৈধ বলে বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বরাবরে আপিল করলে গত ৫ ডিসেম্বর কমিশন বৈধ হিসাবে ঘোষণা করলেও রাত তিনটার দিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে আমাদের আবেদন না মঞ্জুর করে। তারপর আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে (যার নাম্বার ১৫৭৮৩/১৮) হাইকোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর আসলাম চৌধুরীর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপর নির্বাচন কমিশন বৈধ ঘোষণা না করে আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন, (যার নাম্বার ৪৬৬২/১৮)। আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর আসলাম চৌধুরীর প্রার্থীতা বহাল রাখেন। বহাল থাকার পর কাগজপত্র ও আমার পিতা ইসহাক চৌধুরীর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন নির্বাচন কমিশনে করলেও এখন পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি আমাদের প্রার্থী আসলাম চৌধুরী নাকি ইসহাক চৌধুরী তা। তারপরও আমরা জনগণকে বলেছি প্রার্থী যে হোক না কেন ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য।