উস্কানিতে পা না দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

কুমিল্লার ঘটনায় কোনো ধরনের উস্কানিতে পা না দিয়ে সবাইকে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ সহ দেশের ইসলামী সংগঠনগুলো। একই সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে তারা।

বিষয়টির ওপর গভীর নজর রাখার কথা বলে হেফাজত জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। অন্যান্য সংগঠনগুলোও কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দেয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো আলাদা আলাদা বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় ইসলামী সংগঠনগুলো। হেফাজত ইসলাম ছাড়াও সবাইকে শান্ত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ও বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন।

হেফাজতের বিবৃতিতে বলা হয়, কুমিল্লার ঘটনার প্রতি আমরা গভীরভাবে নজর রাখছি। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি সরকার কুমিল্লার ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে আরও বলা হয়, দেশের সব ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতা, হেফাজতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর আলেম-ওলামা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের বিশেষ আহবান থাকবে- কারও উস্কানিতে কোনোরকম সিদ্ধান্ত নেবেন না।আগামীকাল (১৫ অক্টোবর) আপাতত হেফাজতের কোনো কর্মসূচি নেই। আমরা পরিস্থিতির দিকে গভীর নজর রাখছি। প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে-
দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরে যাতে কোনোভাবে শান্তি নষ্ট না হয়, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়, সেদিকে নজর রেখে সব মুসলমানকে শান্ত থাকার আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।

দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনটির আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ বিবৃতিতে বলেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআনকে যেভাবে অবমাননা করা হয়েছে, তা কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারে না। কোরআন অবমাননার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে দ্রুত প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়- কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসন ও সরকার এই দায় এড়াতে পারে না। একই সঙ্গে ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মন্দির ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদিও ইসলাম সমর্থন করে না।

একইভাবে সবাইকে সতর্ক ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন । তারাও প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।