পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

২০২১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালির তিন বিজ্ঞানী। এরা হলেন- আবহাওয়াবিদ সিউকুরো মানাবে, পদার্থবিদ ক্লাউস হ্যাসেলমেন এবং সমুদ্রবিজ্ঞানী জর্জিও প্যারিসি।

মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুরে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে রয়েল সুইডিশ একাডেমি এ বছরের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে।

বিজয়ীদের মধ্যে সিউকুরো মানাবের জন্ম ১৯৩১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, জাপানে। ক্লাউস হ্যাসেলমেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৫ অক্টোবর, জার্মানির হামবুর্গে এবং ১৯৪৮ সালের ৪ আগস্ট ইতালির রোমে জন্মগ্রহণ করেন জর্জিও প্যারিসি।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্বাভাস দেওয়া এবং কমপ্লেক্স ফিজিক্যাল সিস্টেম সম্পর্কে বোঝাপড়ার বিষয়ে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

পৃথিবীর জলবায়ু পরিস্থিতির ভৌত মডেল তৈরি, পরিবর্তনশীলতা পরিমাপ এবং নির্ভরযোগ্যভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়টি অনুমানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন সিউকুরো মানাবে এবং ক্লাউস হাসেলমান। তারা দু’জন এ বছরের নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক পেয়েছেন। অন্যদিকে, পারমাণবিক ও গ্রহীয় পরিসরে ভৌত ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা পরস্পরের ওপর কী প্রভাব ফেলে- তা আবিষ্কারের জন্য পুরস্কারের বাকি অর্ধেক পেয়েছেন জর্জিও প্যারিসি।

গত বছর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানী রজার পেনরোস, মার্কিন জ্যোতির্বিদ রেইনহার্ড গেঞ্জেল ও জার্মান পদার্থবিদ আন্দ্রিয়া ঘেজ। মহাবিশ্বের অন্যতম বিস্ময় কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে নতুন আবিষ্কারের গবেষণায় তারা এ পুরস্কারে ভূষিত হন।

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর (সোমবার) চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস এবং লেবাননের আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।

আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে ৬ অক্টোবর রসায়নে, ৭ অক্টোবর সাহিত্যে, ৮ অক্টোবর শান্তি এবং শেষে ১১ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ একাডেমি।

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেলের উইলের মাধ্যমে এ পুরস্কারের প্রবর্তন হয়। তার রেখে যাওয়া তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার দিয়েই শুরু হয় পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া। পরবর্তীকালে ১৯৬৮ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। তবে পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক এবং ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১.১৪ মিলিয়ন ডলার) অর্থ পেয়ে থাকেন।