ঝুঁকি কমাতে এবার সাত থেকে এগারো বছরের শিশুদের টিকা

মহামারি করোনার সংক্রমণে বড়দেরই বেশি মৃত্যু হয়েছে। বড়দের তুলনায় বেশ নিরাপদেই ছিল শিশুরা।

এর বড় কারণ হতে পারে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বেজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ ছিল। তবে টিকা নিয়ে এখন ধীরে ধীরে মানুষের জীবন যাপন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। শিশুরাও যাচ্ছে স্কুলে।
শিশুদের করোনার ঝুঁকি কমাতে এবার সাত থেকে এগারো বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।
আমেরিকান টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিডের টিকা কোভোভ্যাক্স তৈরি করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকা শিশুদের দেওয়া যাবে।

১২ থেকে ১৭ বছরের কিশোর-কিশোরীদের ওপরে কোভোভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সিরাম। প্রথম ১০০ জনের ক্ষেত্রে সেই প্রতিষেধক কতদূর সুরক্ষিত বলে প্রমাণিত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য তারা ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে জমাও দিয়েছে। সিডিএসসিও-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির এক সদস্য বলেন, বিস্তারিতভাবে আলোচনার পরে সাত থেকে এগারো বছরের শিশুদের নিয়ে প্রোটোকল মেনে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কোভোভ্যাক্স ব্যবহারের সবুজ সঙ্কেত এসে যাবে বলে সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা আশাবাদী। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংস্থা জ়াইডাস ক্যাডিলার তৈরি ডিএনএ-ভিত্তিক কোভিড প্রতিষেধকটি ইতিমধ্যেই ১২ বছর ও তার বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে।