বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কে আবারও পাহাড়ধস, যান চলাচল বন্ধ

রাঙামাটি::

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কে আবারও পাহাড়ধস হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে এই সড়কে আজ সোমবার সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের দুই দিকে আটকা পড়ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এর আগে শুক্রবার ভোরে চার স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বাঘাইছড়িতে ভারী বৃষ্টি হয়। এতে রাতের কোনো এক সময় পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ওপর পড়ে। এতে আজ সকাল ছয়টার দিকে সড়কের উভয় দিকের যানবাহনগুলো আটকে যায়। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে সড়কের ওপর থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু করেন। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাশের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

বাঘাইছড়ি জিপ সমিতির কাউন্টারের ব্যবস্থাপক প্রদীপ দাশ বলেন, পাহাড়ধসের ঘটনার পর সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল সব সময় চলাচল করলেও প্রতিদিন সকাল ছয়টায় জিপসহ অন্যান্য গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তবে এখন কোনো যান চলাচল করছে না।

খাগড়াছড়ি সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুবজ চাকমা বলেন, বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের দুইটিলা, অজলচুগ ও বটলা এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যান চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের ভারী বৃষ্টি হয়নি, তবে চলতি মাসে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হলেই ওই সড়কে পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকে।

৩ সেপ্টেম্বর ভোরে একই সড়কের চার কিলো, দুইটিলা, ১১ কিলো ও জুম্মবী আদাম এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। ওই দিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সড়কের ওপরের একাংশের মাটি সরানোর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়। তবে পুরো সড়ক থেকে মাটি সরাতে প্রায় সারা দিন লেগেছিল। এ ছাড়া ১১ আগস্টেও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। সে সময় চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।