সিআরবি (ভিডিও)

পাহাড়, সাগর, নদী আর আকাবাকা উচু নিচু সর্পিল সড়কের এক অপরুপ সুন্দর নগরী এই চট্টগ্রাম। নান্দনিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই নগরীর রুপমাধু্র্য্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে সিআরবি হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং এলাকা। বৃটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশ দখল নেওয়ার পরে তাদের প্রশাসনিক কাজ ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে ১৮৭২ সালে সিআরবি প্রতিষ্ঠা করে।
এটি পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সদরদপ্তর, যা এক সময় ছিল আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের হেড কোয়ার্টার। বৃটিশ আমলে নির্মিত সিআরবি বিল্ডিংটি শুধু চট্টগ্রামের নয়, পুরো দেশের মধ্যেই স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।
এখানে রয়েছে অসংখ্য রেইনট্রি। যেগুলোর মধ্যে কোনটার বয়স পেরিয়ে গেছে শতবছরেরও বেশি।
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য মতে সিআরবি এলাকায় বড়ো গাছ আছে ৬০-৭০ টি তার মধ্যে ৩০ টির বেশি গাছ শতবর্ষী।
এই গাছগুলো ব্যস্ততম নগরীর অক্সিজেন সরবরাহের উৎস বলেই পরিচিত। কেউ কেউ এই সিআরবি কে চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে বলে থাকেন।
সিআরবিতে আছে হাতির বাংলো, কাঠের বাংলোসহ শতবর্ষী নানান প্রজাতির বৃক্ষ। রেলওয়ে হাসপাতালতো রয়েছেই। রেলওয়ের পাহাড় চুড়া থেকে সমুদ্রের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে দুরে বঙ্গোপসাগর, কিংবা শহর চট্টগ্রামের নান্দনিক রুপ। একপাশে টাইগারপাস সড়কের অনিন্দ সুন্দর রুপ। তার ওপাশেই জিলাপি পাহাড় হিসেবে খ্যাত বাটালী হিল।
সেই সিআরবি’র সৌন্দর্য্যে যেন এক চিলতে কালিমা মেখে দিয়েছে প্রকৃতিকে ঢেকে দিয়ে সাম্প্রতিক হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনায়। যা নিয়ে ফুসে উঠেছে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ। নগরে এক চিলতে এই সবুজ প্রাঙ্গন আর প্রাকৃতিক অক্সিজেন ফ্যাক্টরিটি অক্ষত রাখতে জোট বেধেছে সব শ্রেনী পেশার মানুষ।
শতবর্ষী সাতটি গাছ সিআরবির মূল আকর্ষণ, এগুলোর একেকটি গাছের শিকড় মাটির অনেক গভীরে, এর ডালপালা গুলো প্রায় ৫০ ফুট প্রশস্ত। ধারণা করা হয় ১৮৯৬ সালের দিকে এই শতবর্ষী গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিলো।এ ই গাছগুলো পুরো সিআরবি এলাকাকে ঢেকে রেখেছে ছায়া দিয়ে। পাখি ডাকা ছায়া ঘেরা এক অনিন্দ সুন্দরের রাজ্য তৈরি হয়েছে পুরো সিআরবিকে ঘেরে। সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ের এসব গাছের নিচেই ক্লান্ত পথিক ক্লান্তি দূর করে , শ্রমজীবী মানুষেরা বিশ্রাম নেয়, বিনোদন প্রেমিরা বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করে। দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রামের নির্বাহি সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজের পরিচালনা ও পরিকল্পনায় নিশিমিত ভিডিও