পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে হাঁটুপানি

পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে হাঁটুপানি জমেছে নগরের নিম্নাঞ্চলে। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, মা ও শিশু হাসপাতাল, শান্তিবাগ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, খাতুনগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় বাসা-বাড়ির নিচতলা, দোকানপাট ও সড়কে পানি উঠে গেছে।

তবে কঠোর লকডাউনের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সড়কে বের না হওয়ায় খুব বেশি দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়নি।
জোয়ারে পানি থেকে বাদ যায়নি আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিচতলাও। হাঁটুপানি মাড়িয়ে রোগীর স্বজন, চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মকর্তাদের আসা-যাওয়া করতে হয় এ সময়।

হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা আসাদুজ্জামান বলেন, পতেঙ্গা থেকে হালিশহর পর্যন্ত বিরাট এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত রোগীদের ভরসা মা ও শিশু হাসপাতাল। এখানে ক্লিনিকের চেয়ে অনেক কম টাকায় ভালো মানের সেবা মেলে। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে, ভারী বৃষ্টি হলে কিংবা ভরা পূর্ণিমায় আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের মতো হাসপাতালটির পুরোনো ভবনের নিচতলায় হাঁটু পানি উঠে যায়। কবে মেঝে উঁচু করবে কিংবা নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হবে জানি না।

সিডিএ আবাসিকের বাসিন্দা আনিকা তাবাসসুম বলেন, যারা নতুন ভবন তৈরি করছেন তারা সড়ক থেকে অনেক উঁচুতে নিচতলার ফ্লোর রাখছেন। কিন্তু আগের তৈরি বাসা-বাড়িগুলোর নিচতলা পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। সেখানে পানি জমে মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। অনেক স্কুল, সরকারি অফিসেরও একই দশা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছি আমরা। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সতর্কতা সংকেত নেই, তবে নদীবন্দরে ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত রয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে কর্ণফুলী নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার হচ্ছে। আমরা ৫ দশমিক ২৭ মিটার পর্যন্ত পেয়েছি। স্বাভাবিক সময়ে যা ৩ থেকে ৪ মিটারের মধ্যে থাকে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ অনেক জায়গায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার দিনের জোয়ার শুরু হয় সকাল পৌনে ৯টা থেকে। ২টা ১৭ মিনিটে ছিল সর্বোচ্চ জোয়ার। এরপর ভাটা শুরু হয়। আবার জোয়ার আসবে রাত ৯টা থেকে।