‘তিন শূন্য’র পৃথিবী গড়ে তুলতে অ্যাথলেটদের প্রতি ড. ইউনূসের আহবান

‘তিন শূন্য’র পৃথিবী গড়ে তুলতে অ্যাথলেটদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস। টোকিও অলিম্পিক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা গ্রহণকালে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান। শুক্রবার ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
সম্মাননা গ্রহণসূচক বক্তব্যে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অলিম্পিক লরেল গ্রহণ করতে পেরে আমি সম্মানিত ও অভিভূত বোধ করছি। আমি দুঃখিত যে, আমি আপনাদের সাথে সেখানে সশরীরে উপস্থিত হতে পারিনি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ক্রীড়ার সামাজিক মাত্রার দিকটিকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে। আপনারা, পৃথিবীর অ্যাথলেটরা, পৃথিবীকে বদলে দেবার কাজে নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং একটি ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী – শূন্য নীট কার্বন নিঃসরণ, দারিদ্র চিরতরে দূর করতে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং প্রতিটি মানুষের সহজাত উদ্যোক্তা-শক্তি বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শূন্য বেকারত্বের একটি নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে পারেন। ক্রীড়ার মাধ্যমে একটি অধিকতর শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির যে মিশন আমি তার সাফল্য কামনা করি।

একই সাথে আমি প্রতিযোগিতায় সকলের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করছি।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, মানুষকে সমবেত করতে পৃথিবীতে অলিম্পিক গেমস ও ক্রীড়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। অলিম্পিক গেমস শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে- বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে মহিমান্বিত করে-সমগ্র পৃথিবীকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। পিয়াংচেংয়ে ২০১৮ শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলেটদের সমবেত জাতীয় কুচকাওয়াজ ক্রীড়ার মাধ্যমে শান্তির বিপুল সম্ভাবনার কথা আমাদের প্রবলভাবে মনে করিয়ে দেয়।
অলিম্পিক যুদ্ধবিরতি’ স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা, শান্তি, মানবতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে একটি উন্নততর পৃথিবী সৃষ্টির লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা এই শক্তিকে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে পৃথিবীকে বদলে দেবার কাজে ব্যবহার করতে পারি। খেলাধুলার মধ্যে পৃথিবীকে উদ্দীপিত করে জীবনকে পরিবর্তিত করার ক্ষমতা রয়েছে, আর এই ক্ষমতাকে উন্মোচিত করতে সবচেয়ে কার্যকর কৌশল হলো সামাজিক ব্যবসা।