দাম নেই, চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

পঞ্চাশ পিচ কাঁচা চামড়া নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পতেঙ্গা থেকে আগ্রাবাদের চৌমুহনী এসেছেন পারভেজ। টানা তিন ঘণ্টা বসে থেকেও নেই ক্রেতার দেখা।

পারভেজ বলেন, ঘন্টাখানেক আগে গরুর চামড়া প্রতি ফুট ১০ থেকে ১২ টাকা বললেও ছাগলের চামড়ার কেউ দর-দামই করছেন না।

সানি নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, চামড়া নিয়ে এসে বসে আছি। কারো দেখা নেই। হঠাৎ হঠাৎ একেকজন এসে বড় চামড়া ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বলছে। অথচ এক একটি চামড়া কিনতে খরচ হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পথে বসে যাবো।

তবে সকালের দিকে চামড়া সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকায় বিক্রি হলেও দুপুর গড়াতেই দাম কমে গেছে বলে জানান নগরের মাদারবাড়ির মো. রাসেল নামে এক বিক্রেতা।

চট্টগ্রামে চামড়া সংরক্ষণের জন্য দুটি আড়ত রয়েছে। এর মধ্যে একটি আতুরার ডিপু এলাকায় এবং অন্যটি আগ্রাবাদের চৌমুহনী এলাকায়। সরেজমিন ঘুরে দুই আড়তে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যারা আগে থেকে আড়তদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেখেছেন, তাদের চামড়াই গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে তারা। এতে চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কাঁচা চামড়ার ফুট প্রতি ১৫ থেকে ১৮ টাকা করে কেনা হচ্ছে জানিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মুসলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, লবণযুক্ত চামড়া ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা বিক্রি করতে হবে। তাছাড়া একটা চামড়া সংরক্ষণ করতে লবণ, লেবার চার্জ মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৭ টাকা খরচ পরে। সুতরাং এর চেয়ে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেছে কাঁচা চামড়া। রাস্তার দুইপাশে সারি সারি স্তুপ করে রাখা হয়েছে এসব চামড়া। সময়মতো লবণজাত করা না গেলে এসব চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।