স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই….

দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হলো লঞ্চ চলাচল। যাত্রীদের চাপে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব্য হচ্ছে না। লঞ্চের মালিক, কর্মরত শ্রমিক যাত্রী সাধারণের মাঝে সামজিক দুরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানালেও তা মানছে না যাত্রীরা। আর লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নিবিড় ভাবে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ নৌ-পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে সকাল ৬টা থেকে এপর্যন্ত ৮টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে ঘাটে যাত্রীদের ব্যাপক লক্ষ্য করা গেলেও লঞ্চগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। লঞ্চগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার চেষ্টা থাকলেও যাত্রী সাধারনের চাপে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও তা মানা যাচ্ছে না। গা ঘেষে ট্রার্মিনালে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে লঞ্চে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক থাকলেও তাদের মধ্যে স¦াস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। তবে লঞ্চে প্রবেশে মুখে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা বা জীবানুনাষক দ্রব্য স্প্রে করতে দেখা যায়।

ক’জন যাত্রী সস্তি প্রকাশ করে জানান, ঈদের আগ মুহূর্তে লকডাউন শিথিল করায় ভালো হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে না। তারা দাবি করেন, লকডাউন না দিয়ে স¦াস্থ্যবিধি ও মাক্স পরা নিশ্চিতের।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর নদী বন্দর ও পরিবাহনের উপ-পরিচালক কায়সারুল ইসলাম জানায়, যাত্রীদের নিরাপত্তা মাক্স পরিধান এবং সামাজিক দুরত্বসহ অর্ধেক পরিমাণ যাত্রী পরিবহন নিশ্চিতে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ নৌ পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, লঞ্চে যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ডেক ১৬০, ১ম শ্রেণি ও বিজনেস ক্লাস ৪০০, সিংগেল কেবিন ৫০০ ও ডাবল কেবিন ১০০০। এছাড়া চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ৩৬ টি লঞ্চ চলাচল করে।