নিয়োগ হচ্ছে আরও সাড়ে ৮ হাজার নার্স

দেশে আরও ৮ হাজার ৫৩৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারি হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে এই নিয়োগ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে করোনাকালে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাই করা প্রার্থীদের থেকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার পিএসসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার নতুন করে নার্স নিয়োগের কথা ভাবছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার পিএসসিকে আবেদনকৃত প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৮ হাজার ৫৩৪ জন নার্স নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। গেল বুধবার সেই চাহিদাপত্র পিএসসিতে এসেছে।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাকালে নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগে সরকারের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। এ জন্য আমরা এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সরকার যতজন নার্স নিয়োগ করতে চাইবে, পিএসসির কাছে যদি সে পরিমাণ যোগ্য প্রার্থী থাকে, তাহলে নিয়োগ দিতে কোনো সমস্যা নেই।

এর আগে গত বছরের এক মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের সংখ্যা দুই হাজার ৫০০ জন নার্স নিয়োগের কথা জানানো হয়। পরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে সেই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৪ হাজার নার্স নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ ফেব্রুয়ারি এমসিকিউয়ের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৮ জন। এরপর গত ১০ এপ্রিল তাদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে পিএসসি। তবে করোনোর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে সেই পরীক্ষার পুনর্নির্ধারিত সূচি প্রকাশ করে পিএসসি। কিন্তু করোনার কারণে আবার সেই পরীক্ষাও স্থগিত করে পিএসসি।