বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, অতি ভারি বর্ষণের আভাস

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কয়েকদিন থেকেই দেশে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। আভাস রয়েছে অতি ভারি বর্ষণের। সেইসঙ্গে চট্টগ্রামের দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী শুক্রবারও (২ জুলাই) ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।

আগামী শনিবার (৩ জুলাই) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে। বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুমিল্লায় ২০৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মোংলায় ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২১ মিলিমিটার ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।