সিলেটের জকিগঞ্জে দেশের ২৮-তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ার কথা বলছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামের এই গ্যাক্ষেত্রের একটি কূপে গ্যাসের আলামত পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার আনন্দপুর গ্রামের এই অনুসন্ধান কূপে ড্রিল স্টিম টেস্ট (ডিএসটি) চালিয়ে ‘সৌভাগ্য শিখা’ প্রজ্জ্বলন করতে সক্ষম হন বাপেক্সের কর্মকর্তারা। এর ফলে এই ক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, জকিগঞ্জের পাশ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলায় একাধিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। জকিগঞ্জেও দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। এই প্রথম আশাবাদী হওয়ার মতো উপকরণ পাওয়া গেছে।

সিলেট গ্যাসফিল্ডের নিয়ন্ত্রাধীন এই গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক কবির আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বাপেক্স। অনুসন্ধানে আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছুই মিলছে। তবে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্যাসের উৎসমুখে আগুন জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। তবে এখনই কিছু বলা যাবে না। এটি অন্তত ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সব মিলিয়ে আগামীকাল সন্ধ্যা নাগাদ একটি গ্যাসক্ষেত্র কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে, সম্প্রতি এক সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে। আশা করছি খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এরমধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরও ৭ টিএসএফ’র মতো। নতুন একটি কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গেলে এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হবে।