পিঁপড়ার ওষুধ খাইয়ে ছোট ভাইকে জবাই করল বড় ভাই!

হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী এলাকার আলোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আজমের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।

স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি যা বললো ঘাতক বড় ভাই সরওয়ার, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন আকদ হওয়ার কথা ছিল আজমের। বউয়ের সাথে কথা বলার জন্য দোকানে থাকে আজম। এবার সুযোগ পায় ঘাতক বড় ভাই। সে সুযোগ কাজে লাগাতে পরিকল্পনা নেন বড় ভাই সরওয়ার। রাত ৮টার সময় ঘর থেকে ছোট ভাইয়ের জন্য ভাত নেওয়ার সময় তরকারিতে মিশিয়ে দেয় ইদুরের ওষুধ।

তখন দোকানে মানুষ আর কাজে ব্যস্ত থাকায় যথাসময়ে খাওয়া হয়নি আজমের। এরপর ঘরে চলে যায় বড় ভাই সরওয়ার।

তারপর ঘরে গিয়ে সাড়ে দশটা কিংবা ১১টার দিকে ঘাতক বড় ভাই মোবাইলে জিজ্ঞেস করে ভাত খাইচচ নাকি সে বলে হ্যাঁ এখন খাইচি।

সেটা বলার সাথে সাথে তার বড় ভাই সরওয়ার দোকানে এসে আজমকে ডাকতে থাকে। আজম দোকান খোলার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এবার তাকে গালি গালাজ করে দেখল আজম চেতন আছে কিনা। যখন বুঝতে পারলেন ইদুরের ওষুধ কাজ হয়েছে। তখন রাত ১২টা এবার ছুরি দিয়ে তাকে জবাই করে দেয় ঘাতক বড় ভাই সরওয়ার।

এরপর সে দোকানের ভিতর থেকে চাটারের দুইটা নাট খোলে রাখে এবং ৩টাই বের হয়ে তালা ও নাট লাগিয়ে দেয়।

এরপর ঘরে চলে যায়। সকালে যখন আজম ঘুম থেকে উঠেনি তখন পাশের চায়ের দোকানে বসে থাকা মানুষ গুলো তাদের ঘরে খবর দেয়। এমন খবর শুনে ঘাতক সরওয়ার, চাচাতো, ফুফাতো ভাইসহ এলাকার মানুষ এসে দোকানের উপরে টিন খুলে রিমন প্র‍বেশ করার পর আজমকে গলা কাটাতে দেখে সে চিৎকার করে। তারপর বড় ভাই সরওয়ার আগে গিয়ে লাশের পাশ থাকা কিরিচ টা স্পর্শ করে। কারন সে জানতো যদি না ধরে তাহলে তার আঙ্গুলের চাপ ওখানে আছে। তাতেই আটকে যেতে পারেন তার জন্য এমন পরিকল্পনা ঘাতক সরওয়ারের। এত সুক্ষ্ম পরিকল্পনার পরেও শেষ রক্ষা হল না ঘাতক সরওয়ারের এমনটা জানিয়েছন পুলিশ।