উখিয়ায় উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হচ্ছে না

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
মৌসুমের প্রথম দিনে একটানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উখিয়ার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। জলাবদ্ধতায় কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়ক ডুবে যাওয়ায় পথে পথে যানবাহন অচল হয়ে পড়ে। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। অতি বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলো নাজুক অবস্থা। বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি,দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বালুখালী ঢালা এলাকার ব্যবসায়ী শব্বির আহমদ বলেন, তাদের বেশ কয়েকটি দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেহাল অবস্থার কারণে ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না স্থানীয় এলাকাবাসির।
উখিয়া সদর রাজা পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির কবির চৌধুরী বলেন, উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে দারোগা বাজার ঘেষে ভূমি অফিস পর্যন্ত এবং উখিয়া ষ্টেশনের রাস্তার দু,পাশের ড্রেন ময়লায় ভরাট হয়ে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন কাজে মানুষ উখিয়ায় আসা-যাওয়া করে। আমি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতা থেকে সাংবাদিকদের অনুপ্রেরণায় জনগণের কল্যাণার্থে ড্রেন পরিস্কার করি। এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রতি বছর ভূমি অফিস থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত হাটু পানি জমে থাকতো। বর্ষায় মানুষের চলাফেরায় বিষণ কষ্ট হতো। আমি নিজের টাকা খরচ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সুন্দর করেছি। এখন একটানা বৃষ্টিতেও পানি জমে থাকে না। মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার রয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতে উখিয়া দারোগা বাজারের পানি থৈ থৈ করতো। হাটু পানিতে জলাবদ্ধতায় সীমাহিন কষ্ট হতো মানুষের। এ বছর উখিয়া সদর রাজা পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, হঠাৎ অতি বৃষ্টি হয়েছে। তীব্রতা বেশি ছিল। কোটবাজার-সোনারপাড়া সড়কে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। যানজট ও জলজটে একাকার হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় পানি দ্রত নেমে যাচ্ছে। এই সড়কের ড্রেন এবং খালের প্রশস্থতা বাড়াতে হবে। কারণ এই সড়ক দিয়েই উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওর গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করে। এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কের কাজ শেষ করতে হবে। তিনি জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাকেই দায়ি করেছেন। তিনি আরো বলেন, উখিয়া প্রেস ক্লাব সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা বন্ধ হচ্ছে না, এসব জমছে ড্রেনে। যে যার ইচ্ছেমতো ফেলছে বর্জ্য। আর এসব বর্জ্য কোনো না কোনোভাবে ড্রেনে চলে যাচ্ছে। যার ফলে দুই-এক ঘন্টা বৃষ্টি হলে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।