মানুষকে আশাবাদী করুন, সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

দেশের মানুষের সামনে জাতির অদম্য পথচলা তুলে ধরে আশাবাদী করে তোলার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রাষ্ট্রের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়াসের পাশাপাশি মানুষকে আশাবাদী করে তোলার জন্যও সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ড. মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস যার নিত্যসঙ্গী, সেই বাংলাদেশ করোনা মহামারির মধ্যেও অদম্য গতিতে এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়ে অনেক আগে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আজ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই অদম্য পথচলার কথা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে হবে, তাহলেই মানুষ আশাবাদী হবে।

শুক্রবার (১১ জুন) রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারের ইআরএফ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর জনগণের আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দিনে মুক্তিলাভ করেন। দিনটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।

প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত গণমাধ্যমবান্ধব হিসেবে উল্লেখ করে ড. মাহমুদ বলেন, আশাহীন মানুষ যেমন এগুতে পারে না, আশাহীন সমাজও তাই। গণমাধ্যম অবশ্যই সমাজের অসংগতি তুলে ধরবে, সেই সাথে জানাবে সাফল্য, উন্নয়ন, অগ্রগতির কথাও।

আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চাই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমরা ধনী ছিলাম, যখন বিশ্ব অর্থনীতি কৃষিনির্ভর ছিল। বছরে তিনটি ফসল কম দেশেই হয়। এরপর বিশ্ব অর্থনীতি শিল্পনির্ভর হয়ে গেলে আমাদের থেকে কাঁচামাল নিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে শিল্পোন্নত দেশগুলো আমাদের কাছেই শিল্পপণ্য বিক্রি শুরু করে আর তারা অনেক এগিয়ে যায়। আমরা এই দৃশ্যপট পাল্টে দিতে চাই, আবারো হতে চাই সমৃদ্ধ দেশ। আর সেজন্য প্রয়োজন সাংবাদিক সমাজসহ সবার একযোগে কাজ করা।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় বিএসআরএফ নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা সভায় অংশ নেন।

আগামী ১৩ জুন রোববার বিএসআরএফের পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ধার্য হয়েছে।