কাপ্তাইয়ে কাঁচামাল বিক্রেতা আল আমিনের সততার গল্প মানুষের মুখে মুখে

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই। কাপ্তাই সোনালী ব্যাংকের ১ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে কাপ্তাই নতুন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ আল আমিন। তার সততা এখন মানুষের মুখে মুখে। কাঁচামাল ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, তিনি এবং তার ভাই আবু কালাম গত বুধবার (৯ জুন) বেলা প্রায় ১২ টায় সোনালী ব্যাংক বড়ইছড়ি শাখায় ১লাখ টাকার চেক নিয়ে যান টাকা তুলতে। এসময় তিনি কাউন্টারে চেক জমা দিলে একাউন্স হতে চেকের পেছনে মোবাইল নাম্বার লিখতে বললে তিনি পাশের টেবিলে চেকের উপর মোবাইল নাম্বার লিখতে বসেন। এরইমধ্যে তার ভাইকে কাউন্টার হতে ১ লাখ প্রদান করা হয় এবং সে টাকা নিয়ে ব্যাংকের বাহিরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আল আমিন ওই চেক নিয়ে কাউন্টারে গেলে তাকেও চেকের বিপরীতে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। টাকা নিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। তখন তার ভাই কালাম এসে জানান, ওই চেকের বিপরীতে তিনিও ১ লাখ টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক সিএনজি রিজার্ভ করে সোনালী ব্যাংক বড়ইছড়ি শাখায় গিয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দিনের হাতে বাড়তি ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। এসময় ব্যাংকে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুই ছাইন চৌধুরী, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সোনালী ব্যাংক বড়ইছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, একই চেকের বিপরীতে তারা দু’ভাই ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে অবশ্য তারা বিষয়টি ভূল বুঝতে পেরে শাখায় এসে বাড়তি ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী জানান, আল আমিন ইচ্ছে করলে ওই টাকা ফেরত না দিয়ে রেখে দিতে পারত।কিন্তু টাকা ফেরত দিয়ে সে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আল আমিনের এমন সততা তাকে মুগ্ধ করেছে। আল আমিনের মতো সততা যদি দেশের সকল নাগরিকের থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে তারা আরো এগিয়ে যেতে পারতেন তিনি মন্তব্য করেন।