“রাইজ এগেইন” সৌদি শিল্পীরা নিজস্ব উপায়ে ফিলিস্তিন নিয়ে আলোচনা করছেন

বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষ পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজায় সর্বশেষ ইসরাইলি হামলা সম্পর্কে কথা বলার জন্য শিল্পমাধ্যমকে ব্যবহার করছেন। শিল্পীরা তাদের সৃজনশীলতা ব্যবহার করে নির্যাতিতদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। এগুলো বিভিন্ন সীমানা, ভাষা এবং সংস্কৃতি জুড়েই চলছে এবং শিল্পীরা এটা চালিয়ে নেয়ার জন্য ব্যক্তিগত বা সম্মিলিত উদ্যোগ শুরু করেছেন। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।

মদীনাভিত্তিক লুজাইন ইব্রাহিম একজন উঠতি শিল্পী যিনি সূচিকর্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি একটি স্বতন্ত্র দৃশ্য সেলাই করে চলেছেন। তার এক টুকরায় জেরুজালেমের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী নাবিল আল-কুর্দ এর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গ্রাফিতিতে নাবিল তার বাড়ির দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাতে আরবিতে “আমরা ছেড়ে যাবো না” কথাটি লেখা রয়েছে, যা শহরের শেখ জারাহ জেলায় তার নিজ বাড়ি খালি করতে অস্বীকার করারই বহিঃপ্রকাশ।

ইব্রাহিম আরব নিউজকে বলেন, “আজকের এই সময়ে কষ্টের কিছু নিয়ে কথা বলার চেয়ে আমি বরং আবেগ অনুভব করতে চাই। আমার মতে, এটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।”

শিল্পী নাসের আলমুলিম ফিলিস্তিন এবং তার জনগণের জন্য একটি ‘লাভ লেটার’ লিখেছেন যার সাথে রয়েছে অনেকেগুলো তরমুজ।
এটা ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনের পতাকা এবং এর রং প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার পর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিল্পী ডালিয়া মৌমিনা এক ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নাতনী। ১৯৪৪ সালে নিজ বাড়ি থেকে তার দাদিকে বহিষ্কার করা হয় যার ফলে হাজার হাজার মানুষের সাথে দাদি সৌদি আরবের জেদ্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

বাল্যকালে জেরুজালেমে তার দাদির প্রথম জীবনের স্মৃতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মৌমিনা আল-আকসা মসজিদের ‘ডোম অফ দ্য রক’ (কুব্বা-তুস সাখরা) এর একটি স্বচ্ছ তৈলচিত্র তৈরি করেছেন এবং ফিলিস্তিনে তার দাদির শৈশবের দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রিত করার জন্য এটিকে “রাইজ এগেইন” নামে অভিহিত করেছেন। মৌমিতা ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ এবং অভাবী পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে অর্থ সংগ্রহের জন্য ওই তৈলচিত্রটি অনলাইন নিলামে তুলেছেন। এটি তার দাদি এবং তার নিজ স্বদেশের প্রতি তার এক ধরনের উৎসর্গ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।