মোপেড মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, হাইব্রিড গাড়ির দাম কমবে

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোটরসাইকেলের কাঁচামাল আমদানি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল মপেডে শুল্কছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুর্ঘটনা রোধে নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবহারকে উত্সাহিত করতে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমতে পারে। এর ফলে বাজারে মোটরসাইকেল ও হাইব্রিড গাড়ির দাম কমতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী বা সংযোজনকারী শিল্পর জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনে নতুন কয়েকটি কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করে পশ্চাদ সংযোগ শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নের প্রস্তাব করছি। মপেড একটি জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল। এটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিধায় সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চত করার লক্ষ্যে মপেড এর শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি। প্রসঙ্গত, মপেড হচ্ছে মোটরসাইকেলের তুলনায় ছোট। এর ক্ষমতা ৫০ সিসির মধ্যে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘নসিমন ও লেগুনার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি। পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করছি।’

বাজেট প্রস্তাবে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূণ্য শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৮০১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।

২০০১ থেকে বেশি সিসির মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৫ শতাংশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।

প্রস্তাবে তিনি বলেন, ডাম্পার বা টিপার সংযোজনকারী শিল্পের সুরক্ষায় সিকেডি অবস্থায় ডামপার বা টিপার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করছি।

মোপেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন এবং ডাম্পার বা টিপার অসংযোজিতভাবে আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

এছাড়া মোপেড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন অসংযোজিতভাবে আমদানিতে বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে।