নাইক্ষ্যংছড়িতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের রেজু আমতলী বিওপি সদস্যদের সঙ্গে মাদক কারবারিদের গোলাগুলির ঘটনায় এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার ও ১টি একনলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি’র সদস্যরা রেজু আমতলী বিওপি’র একটি অভিযান টহল দল সীমান্ত পিলার-৩৮ হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ী এলাকার আমবাগান নামক স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান নেন। এসময় ৫/৬ জনের ১টি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অজ্ঞাতনামা ১ জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় এবং তার পার্শ্বে ইয়াবা সদৃশ বস্তু ও দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক পড়ে থাকতে দেখে।
পরে দ্রুত আহত ব্যক্তির জীবন রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
এদিকে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ আলমের পুত্র মো. ইব্রাহিম (৩০) বলে পরিচয় দেয়।
বিজিবি সূত্র আরো জানায়, গোলাগুলির ঘটনায় ২জন বিজিবি সদস্য আহত হয় এবং আহত বিজিবি সদস্যদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।।