পিরামিডের তালা খুলতে চেয়েছিলেন নিউটন

স্যার আইজ্যাক নিউটন। নামটি শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়। তিনি এমন একজন গনিত বিশারদ ছিলেন যার হাত ধরে আধুনিক পদার্থবিদ্যা পূর্ণতা লাভ করেছে। গতিবিদ্যা নিয়ে তার ভাবনা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি দুরন্তভাবে করেছে। পাশাপাশি মাধ্যকর্ষণতত্ত্ব বিশ্বকে নতুনভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তবে তার মৃত্যুর ২০০ বছর বাদে তার আরও একটি চিন্তাভাবনা এখন সকলের সামনে এসেছে। মিশরের প্রাচীণ পিরামিড এবং বাইবেল নিয়ে নিউটন যে চিন্তাভাবনা করতেন তা এবার সকলের সামনে উঠে এসেছে। নিউটনের প্রিয় ডায়মণ্ড যখন তার লেখা বেশকিছু তথ্যকে নষ্ট করে দিয়েছিল তখন তিনি কিন্তু ডায়মণ্ডের ওপর রাগ প্রকাশ করেননি।
তবে পিরামিড নিয়ে তার চিন্তাভাবনা ছিল সেই তথ্যে। পিরামিড নিয়ে নিউটনের লেখা দেখে বর্তমানে অবাক হয়েছেন সকলেই। জানা গেছে, ১৬৮০ দশক থেকেই পিরামিড নিয়ে নিউটন গবেষণা করতে শুরু করেন। তবে তার সেই গবেষণাকে সেইসময় স্বীকৃতি দেয়নি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। তার চিন্তাভাবনা শুধু মিশর নয়, গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছিল। বিশ্বের বাজারে কিভাবে পিরামিড নিজেকে বহু বছর ধরে অক্ষত রাখবে তাও ছিল তার গবেষণায়। স্থাপত্য শিল্পে তার সেই চিন্তা আজও সমৃদ্ধ করেছে বিশ্বকে। ১৭ দশকে পিরামিড নিয়ে তার গবেষণা অন্যদের থেকে তাকে আলাদা করেছিল। অঙ্কের সঙ্গে পদার্থবিদ্যার মিশেলে তিনি পিরামিডকে তৈরি করেছিলেন। সেজন্যই তাকে হয়তো বর্তমান প্রজন্ম ‘দ্য লাস্ট ম্যাজিশিয়ান’ হিসাবে মনে রেখেছে। ধর্ম এবং বিজ্ঞান যে একে অপরের পরিপূরক হিসাবে চলতে পারে তার উৎকৃষ্ট নিদর্শন তিনি সেই সময় দেখিয়েছিলেন। ১৭২৭ সালে তার মৃত্যুর পরও তার আবিস্কার এবং চিন্তাভাবনা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছিল। তাকে সকলে রাগী, কটুকথার ব্যক্তি হিসাবে মনে করলেও নিজের কাজে তিনি ছিলেন অবিচল। তিনি নিজেকে একজন ‘মসিহা’ হিসাবে মনে করতেন যিনি বিশ্বকে নতুন পথ দেখাবেন। সেই কাজ তিনি করেছিলেনও। আসলে বিশ্বে যারা গ্রেট হয় তারা অন্যের সমালোচনায় ভীত হয় না। কারণ তারা জানেন, বিশ্ব তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে।