ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপকারিতা

সারা দেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পইন চলবে আগামী ১৭ অক্টেবর পর্যন্ত।
শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। তাই অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তানকে যেন অবশ্যই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপকারিতা-

১. শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে।

২. শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩. অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। এই ভিটামিনটির অভাবে আপনার শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৪. এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে। দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’-এর সংযোগ রয়েছে।

৬. ভিটামিন ‘এ’ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

কীভাবে খাওয়াবেন-

শিশুকে অবশ্যই ভরা পেটে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হয়। তাই জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক নয়। এতে ক্যাপসুলের তরল লালার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।