ফটিকছড়িতে রাশেদ কামাল হত্যার জের পুত্রের শোকে পিতার মৃত্যু!

ইউনুস মিয়া,ফটিকছড়িঃ উপজেলার নানুপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাশেদ কামাল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্র কন্ঠের অধিকারী।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক নির্ভিক সৈনিক। আওয়ামী রাজনীতির একনিষ্ঠ কর্মী। অন্যায়-অবিচার চোখে পড়লেই আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিতো। দিতো প্রতিবাদী গর্জন। এসব মেনে নিতে পারেনি এলাকার নানা অপকর্মের হোতারা। রাশেদ কামাল হয়ে উঠে জুলুমবাজদের পথের কাঁটা। এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ-ভূমিদস্যুরা তাদের পথের কাঁটা পরিষ্কার করতে হাতে নেয় হত্যার পরিকল্পনা। শেষ পর্যন্ত এসব সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদ কামালকে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়। ১১ জুন রাত আনুমানিক ৮ টার সময় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নির্মম এ খুনের প্রায় একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা মূল আসামীরা। ইতিমধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হলেও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট রাশেদ কামালের পরিবার এবং কর্মীরা। এ পরেও বিচারের পথ চেয়ে আছেন তারা। অচিরেই নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় দেখতে পাবেন; এ আশা নিয়ে প্রহর গুনছেন নিহত রাশেদ কামালের মা-বাবা, স্ত্রীসহ তিন অবুঝ সন্তান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। আর দেখা হলো না ছেলে হত্যার বিচার। পুত্রের শোক সইতে না পেরে অভিমান নিয়েই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রাশেদ কামালের পিতা আব্দুর রব্বান। ছেলে রাশেদ কামাল হত্যার ২৬ দিনের মাথায় তিনি আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকালে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। কয়েক সপ্তাহ’র ব্যবধানে পিতা-পুত্রের মৃত্যুতে রাশেদ কামালের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। শোকে মুহ্যমান রাশেদ কামালের সহযোদ্ধা ও অনুসরীরা। শোকের ছায়া নেমেছে এসেছে ফটিকছড়ির আওয়ামী রাজনীতিতে। আর সময় ক্ষেপণ না করে অনতিবিলম্বে রাশেদ কামাল হত্যাকাণ্ডে ইন্ধনদাতাসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রশাসনের প্রতি আবারো জোর দাবী জানিয়েছেন তার দলীয় নেতাকর্মীরাসহ সবাই। এদিকে, রাশেদ কামালের নির্মম হত্যাকারীরা এখনো অধরা থাকায় নানুপুরের সর্বস্তরের জনগন ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এহেন হত্যাকান্ডে শোকের মাতম অব্যাহত থাকলেও রাশেদ কামালের পরিবারে তার পিতা রব্বানীর মৃত্যুতে আবারও শোকের পাথর জমে উঠেছে।