বিজিএমইএ হাসপাতালকে ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তর করেছে

নগরের শ্রমিক অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড ও কাটগর-হালিশহর এলাকার মধ্যবর্তী সল্টগোলায় অবস্থিত বিজিএমইএ হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কোভিড-১৯ (করোনা) আইসোলেশন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তর করেছে।

প্রাক আইসিইউ সেবা পর্যন্ত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সহ একটি বেইজমেন্ট ও ৩ তলা মিলে সাড়ে ১৬ হাজার বর্গফুটের এ ফিল্ড হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ৫ জন চিকিৎসক, ৭ জন নার্স, ২ ল্যাব টেকনিশয়ানসহ ২৩ জন নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সামাজিক দায়দ্ধতার অংশ হিসেবে বিজিএমইএ এ উদ্যোগ নিয়েছে।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের তত্ত্বাবধানে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকদের সার্বিক সহযোগিতায় এ ফিল্ড হাসপাতাল চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

বিজিএমইএ প্রথম সহ সভাপতি জানান, সম্প্রতি শ্রমিক কর্মচারীদের সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত রাখার শর্তে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তক্রমে সারাদেশে গার্মেন্টস শিল্প কারখানাগুলো চালু করা হয়। কিন্তু এপ্রিল ও মে মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এ শিল্পেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কোভিড-১৯ (করোনা) আইসোলেশন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এ হাসপাতালে গার্মেন্টস পরিবারের শ্রমিক কর্মচারী ছাড়াও আশপাশের এলাকার করোনা আক্রান্ত হতদরিদ্র জনসাধারণকেও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

এ আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রোগী ও কর্মরত ডাক্তার নার্সসহ জনবলের বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ হাসপাতালে করোনা স্যাম্পল কলেকশন বুথ স্থাপনসহ আরটি পিসিআর টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের বিষয়টিও বিজিএমইএ’র পরিকল্পনাধীন রয়েছে।