ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি, গুজবে কান দেবেন

কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সুবর্ণ এক্সপ্রেসসহ যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ। রোববার (১০ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ট্রেন চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনাও হয়নি।

কয়েকদিন ধরে ফেসবুকসহ কয়েকটি ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে সুবর্ণ এক্সপ্রেসসহ যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে সংবাদ দেওয়া হয়। এসব তথ্য ফেসবুক ভিত্তিক রেলওয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে শেয়ারও দেওয়া হয়।

রেলওয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান এসব গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ফেসবুকে ভেসে বেড়ানো সব তথ্যই সঠিক নয়। তাই সঠিক তথ্য জেনে শেয়ার দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে সাধারণত আমাদের চিঠি দিয়ে জানায়। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেন চালুর বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি।

সিগন্যাল সিস্টেম চালু থাকে, সেজন্য প্রত্যেক স্টেশনে জেনারেটরে তেল ভর্তি করে রাখতে হয়

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি ও এর বাইরে ৫টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন ৪টি ট্রেন এসব স্টেশন দিয়ে চলাচল করছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও যাতে ২৪ ঘণ্টা সিগন্যাল সিস্টেম চালু থাকে, সেজন্য প্রত্যেক স্টেশনে জেনারেটরে তেল ভর্তি করে রাখতে হয়।

যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সময় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ১৭টি স্টেশনে তেল পৌঁছে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন ট্রেনটি বন্ধ থাকায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে এসব স্টেশনে তেল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (ডিএসটিআই) জাহেদ আরেফিন পাটোয়ারী তন্ময় বলেন, সিগন্যাল সিস্টেমের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। করোনা ভাইরাসের কারণে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আর তেল পাঠানো যায়নি। তাই বিকল্প ব্যবস্থায় গাড়িতে তেল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।