স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশই

স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশই থাকছে।

জাতীয় সংসদে শনিবার পাস হওয়া অর্থবিলে প্রস্তাবিত বাজেটে আরোপিত এই করে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। 

আগের ১০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে এই আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে।

স্মার্টফোন আমদানিকারকরা বলছেন, বাড়তি এই শুল্কের কারণে সবমিলে ৫৭ শতাংশের বেশি করের বোঝা চাপবে স্মার্টফোন আমদানিতে। ফলে দেশে আমদানি করা স্মার্টফোনের দাম বেশ বেড়ে যাবে।

বাজেটে বলা হয়, স্মার্টফোন সমাজের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে বলে এর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ করা।

এতে বলা হয়েছে ফিচার ফোন নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠি ব্যবহার করে। বর্তমানে  ফিচার ফোনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, যা অব্যাহত থাকছে।

আইসিটি খাতের অন্যতম অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধার কারণে দেশে এর ৫-৬টি কারখানা স্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে এবারের বাজেটে  সেই সুবিধা রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনে কিছু যংন্ত্রাংশ আমদানির শুল্ক কমানো হয়। 

এর আগে আমদানি করা স্মার্টফোনে মোট কর ৩২ শতাংশ। এই ৩২ শতাংশের মধ্যে আমদানি শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ।   

অন্যদিকে দেশে সংযোজিত স্মার্টফোনের মোট কর ১৭ শতাংশের মতো। ২০১৯-২০ বাজেটে তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সঙ্গে স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব রয়েছে এতে। 

আর দেশে উৎপাদন করলে হ্যান্ডসেটের কর হবে মাত্র ৫ শতাংশ, যা নতুন বাজটে আগের মতোই আছে।  

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ করা হয়। যা আগে ছিল ৫ শতাংশ।

বিপরীতে স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরিতে প্রয়োজনীয় সব রকমের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যাপক শুল্কছাড় ও প্রণোদনা দেয়া হয়।