দুবাইয়ের ইফতার

রমজান মাস রহমতের মাস। পুরো রমজান মাস জুড়ে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলিম আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। আর সারাদিন সিয়াম সাধনার পর একজন রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। ইফতারির মাধ্যমে একজন রোজাদার তার রোজা শেষ করেন। তবে সব খানে বা সব দেশে কিন্তু ইফতার এক না।

ইফতারির আইটেম নিয়ে সারা বিশ্বে রয়েছে ভিন্নতা। তবে কিছু কিছু খাবার সব দেশেই ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অন্যতম খেজুর। ইফতারির টেবিলে খেজুর থাকবে না সেটা চিন্তাই করা যায় না। রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন নতুবা কয়েক ঢোক পানি পান করতেন। এখনো ইফতার শুরু হয় পানি বা খেজুর দিয়ে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ইফতার উৎসবে পরিণত হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই ইফতারিতে যুক্ত হয়েছে বিচিত্র ধরনের খাবার।

আমাদের দেশে ইফতারের সময় সাধারণত বুট-মুড়ি কিংবা ভাজা-পোড়া খাবারই বেশি পছন্দ করে ছোট বড় সব বয়সের মানুষ। তবে খাবারে তালিকায় থাকে নানা মৌসুমি ফলও। আর শরবত তো থাকেই। এছাড়াও অনেক সময় ভারি খাবারও থাকে ইফতার আয়োজনে।

আমাদের দেশের মত অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়েই ইফতার করেন রোজাদাররা। এক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য মুসলিম দেশ হিসেবে দুবাইয়ের ইফতার টেবিলে কী থাকে তা দেখে নেই:


দুবাইয়ের ইফতারের তালিকায় যা থাকেঃ
দুবাইয়ের ইফতারিতেও থাকে নানা রকম মুখরোচক খাবার।

রুটি, মাংসের চপ (যা ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি-স্থানীয় ভাষায় ওউজি), মসুর ডালের স্যুপ, সালাদ ইত্যাদি থাকে। তাদের এই আয়োজনকে সম্মিলিতভাবে ‘মেজে’ বলা হয়। তবে দুবাইয়ের ইফতারেও খেজুর থাকে। এবং সাথে থাকে নানা ধরনের পানীয়।