‘মাদক আগ্রাসন রুখতে হলে জাতীয় সংসদে বিল পাশ করুন’

চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত ‘মাদককে না বলুন’ শীর্ষক সমাবেশে সাবেক সেনা প্রধান বীর প্রতীক ও মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন একজন বদিকে দমন করে কিংবা কিছু মানুষ মেরে মাদকের আগ্রাসন বন্ধ হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মাদক আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে হলে পরিবারে সচেতনা খুব জরুরী। তিনি বলেন প্রত্যেক পিতা-মাতাকে তার সন্তানের প্রতি যতœশীল হতে হবে। সন্তানের দেখভাল মনোযোগের সহিত দায়িত্ব পালন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন মাদক সেবী নন, মাদক বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে পারলে মাদক আগ্রাসন নির্মুল সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ও কঠোর নজরদারির ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এটিএম শামসুজ্জামান বলেন মাদক ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের শত্রু। এরা দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য কিছু সংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী এদেশে মেধাবী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে মাদক তুলে দিচ্ছে। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের হাতে বাংলাদেশ পরিচালনার আগামীর চালিকাশক্তি। শিক্ষার্থীদের কখনো ধ্বংস করা যাবে না। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ব বিবেকের প্রতীক উন্নয়নের মডেল শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন আপনি এখনই জাতীয় সংসদে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিল পাশ করে জাতিকে মাদকের আগ্রাসন থেকে উদ্ধার করুন। চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ কার্যকরী সভাপতি আলী আহমেদ শাহিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি সাংবাদিক প্রশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ দিদার আশরাফী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চবি’র সিনেট সদস্য ড. মোহাম্মদ রেজাউল কবির, অভিনেতা পংকজ বৈদ্য সুজন, ১৪ দলীয় জোট নেতা স্বপন সেন, দৈনিক সমকালের ডিএমডি সুজিত কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ফজল আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এনামুর রশিদ চৌধুরী, অধ্যক্ষ মোঃ শামসুদ্দীন, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, সিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, মৌলানা মোঃ মহিউদ্দিন আল কাদেরী, হাজী মোঃ শাহজাহান, হেফাজত ইসলাম চৌধুরী, কল্পতরু ভট্টাচার্য্য, দিলীপ হোড়, ভাষ্কর ডিকে মামুন। বক্তারা চট্টগ্রাম নগরীতে ১৪টি মদের মহালে ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি করে শিক্ষার্থীদের যাপিত জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। বক্তারা অবিলম্বে নগরীর ১৪টি মদের মহালকে দ্রুত উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডাঃ খোদেজা খুরশিদ অপরাজিতা, আলহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাছির, গীতিকার ফারুক হাসান, শিশু সাহিত্যিক রজমান আলী মামুন, মুকতাদের আজাদ খান, মৌলানা মাহবুবুর রহমান, মৌলানা জয়নাল আবেদীন চিশতী, মুক্তিযোদ্ধা দয়াল হরি দে, ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাই, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, এম এ মারুফ, জান্নাতুল নাঈম রিকু, এড. ফরিদা আক্তার, পারভিন আক্তার চৌধুরী, কবি নুর নাহার নিপা, কবি জান্নাতুল ফেরদাউস সোনিয়া, কারিমা বেগম বিজলী, শারমিন আক্তার, সোমা মুৎসুদ্দী, রিয়াজুর রহমান রিয়াজ, শিব্বির আহমেদ ওসমান, জাকির হোসেন, ইকবাল ভূঁইয়া, ডাঃ উত্তম কুমার সরকার, ডাঃ আ ম ম নুরুল হক, মোঃ ইউনুস ভূঁইয়া, রিমন মুহরী, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু, কাজী আইয়ুব, জামাল উদ্দিন কান্টু, ওসমান গনি, শিল্পী নারায়ন দাশ, নুরুল হুদা, একরাম রানা ও বিধান বড়–য়া প্রমুখ।