আমাদের জন্য বিগ ডেটা বড় চ্যালেঞ্জ নয়

প্রযুক্তিতে আমরা যতোটা এগিয়েছি তাতে বিগ ডেটা আমাদের জন্য খুব বড় চ্যালেঞ্জ নয়, বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নেত্বত্ব দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের আগে কোন দেশ নিজেদের ডিজিটাল ঘোষণা করতে পারেনি। প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে থাকব না। বিগ ডেটা আমাদের জন্য খুব বড় কোন চ্যালেঞ্জ নয়।তিনি বলেন, এছাড়াও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যেই ফাইভজি চালু করার।স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিগ ডেটা প্রয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিতকরার লক্ষ্যে সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ‘বিগ ডেটা ফর হেলথ’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ডেটা ফর হেলথ ইনেশিয়েটিভ (ডিফরএইচ), ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস, ইউনিসেফ, আইসিডিডিআর’বি এবং মেজার ইভাল্যুইয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে।তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সচেতন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকল নাগরিক সেবাকে ডিজিটাল রূপান্তর আমাদের মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ে বিগ ডেটাভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণেও গুরুত্ব আরোপ করা হবে।সরকার ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাম এবং শহরের মধ্যে ডিজিটাল সেবার পার্থক্য ঘোঁচাতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসডিজির বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ভিত্তিক অগ্রগতি পরিমাপের জন্য স্থান, লিঙ্গ, বয়স, অর্থনৈতিক ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের ডেটা প্রয়োজন হয়। এই তথ্যগুলো বিগ ডাটা ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে প্রক্রিয়া করা হলে এসডিজি বিশেষ করে এসডিজি-৩ (সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ) অর্জনের অগ্রগতি পরিমাপ করা সহজ হবে।সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে বিগ ডেটা ব্যবহারে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বর্তমান ও সম্ভাব্য বিগ ডেটার উৎস এবং বিগ ডেটা প্রয়োগে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলগুলোকে নির্ধারণ করা।সম্মেলনে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, কোরিয়া, দুবাই, পর্তুগাল, ভারতসহ বিশ্বের ১৫টিরও অধিক দেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি, একাডেমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ডেটা বিশেজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের কেস উপস্থাপন করেছেন।এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক এবং অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জি এবং এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।