মনোনয়ন দৌড়ে শিষ্যের কাছে গুরুর হার

মোহাম্মদ আলী: নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও ভাগ্য খোলেনি চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের। এ আসনে বিএনপির হাইকমান্ড ভরসা রেখেছেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের ওপর।চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আবু সুফিয়ানকে এম মোরশেদ খানের শিষ্য হিসেবে মানা হয়।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) সকালে নতুন করে আটজনকে চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন দেয় বিএনপি। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী হিসেবে আবু সুফিয়ানের নাম ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) ও কিন্তু নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও মনোনয়ন জোটেনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের।
এ আসনে (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন এম মোরশেদ খান, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান ও নগর বিএনপির সদস্য এরশাদ উল্লাহ।
গত ২ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের ৩০ লাখ টাকার বিল খেলাপির দায়ে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের মনোনয়ন বাতিল করে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
এছাড়া ব্যাংক হিসাব না খোলার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনের বিএনপির বিকল্প প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে তিনিও প্রার্থিতা ফিরে পান। ফলে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া তিনজনই নির্বাচনে যোগ্য হলেও ধানের শীষ পাচ্ছেন কেবল আবু সুফিয়ান।
এদিকে আবু সুফিয়ানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করেন, এখানে মোরশেদ খান বারবার এমপি হলেও তার প্রতি আস্থা নেই জনগণের। আবু সুফিয়ান গত ১০ বছর ধরে রাজপথে আছেন। তিনি এখানে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। তাই এ আসন উদ্ধারে তার মতো তরুণ নেতৃত্ব প্রয়োজন বিএনপির।
এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের মইনুদ্দিন খান বাদল। ভোটাররা বলছেন, আবু সুফিয়ান প্রার্থী হওয়ায় এ আসনে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।