পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ বেড়েছে

নতুন অর্থবছরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য গতবারের চেয়ে বরাদ্দ বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার বাজেটে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮৭ কোটি টাকা বেশি।

সেই সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা, যা গতবারের চেয়ে ৮৪৮ কোটি টাকা বেশি।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের ৫৮৫ কোটি উন্নয়ন এবং ৫৩৫ কোটি টাকা অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে।

বাজেট বক্তৃতায় পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৪টি নতুন এবং ২টি সংশোধিত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে অভিযোজন কৌশল ও করণীয় নির্ধারণকল্পে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান (এনএপি) প্রণয়নে রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।

ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান অব বাংলাদেশ ২০১৬-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

“সমগ্র উপকূলজুড়ে সবুজ বেষ্টনী স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সবুজ বেষ্টনী স্থাপনযোগ্য উপকূলীয় এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ১ হাজার ৭৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেশের একমাত্র ‘মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া’ ঘোষণা করা হয়েছে।”
উপকূলীয় এলাকায় ষাট ও সত্তরের দশকে নির্মিত বেড়ি বাঁধের সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দের ৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা অনুন্নয়ন এবং ২ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “প্রাকৃতিক ও অবস্থানগত কারণে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ বলে পরিচিত। তবে যে কোনো ধরনের অভিঘাত মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত।

“এর পিছনে রয়েছে জনগণের অদম্য মনোবল এবং সরকারের বাস্তবানুগ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নীতি-কৌশল। এরই অংশ হিসেবে সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা গ্রহণ করেছি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, ২০১৬-২০২০।”

তিনি জানান, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা ও রেজিলিয়েন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগপ্রবণ জেলায় ত্রাণ গুদাম নির্মাণ এবং মুজিব কিল্লা সংস্কার ও নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।