রাউজানে করোনা আক্রান্ত গার্মেন্টস কর্মীর দাফন করলো গাউসিয়া কমিটি

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজানে করোনা রোগে আক্রান্ত গার্মেন্টস কর্মী লাশের গোসল করা ও কাফন পড়ানোর পর জানাজার নামাজ শেষে কবরে দাফন করলেন গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ্ব। রাউজান উপজেলার রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজান আনসুর আলীর বাড়ীর বাসিন্দ্বা মোঃ নাসির (৫১)চট্টগ্রাম নগরীতে গামেন্টসে চাকুরী করা অবস্থায় করোনা সংক্রমকে আক্রান্ত হয় । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গার্মেন্টস কর্মী মোঃ নাসির মৃত্যুবরন করেন গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার সন্দ্ব্যায় ।

গার্মেন্টস কর্মী নাসিরের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এলাকার লোকজন গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কবরস্থানে কবর তৈয়ার করেন । রাতেই গামের্ন্টস কর্মী নাসিরের লাশ নিয়ে লাশবাহী একটি এ্যম্বুলেন্স তার বাড়ীর অদুরে ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী জামে মসজিদ মাঠে আসলে নাসিরের আত্বিয় স্বজন প্রতিবেশীরা কেই নাসিরের লাশের পাশে আসেনি সকলেই ঘরের মধ্যে চলে যায় । ঘর থেকে কেই বের হয়নি । ২৯ মে শুক্রবার সকালে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ¦ আহসান হাবিব চৌধুরীর নেতৃত্বে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান ফকির হাট শাখার সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ, সমাজ কল্যান সম্পাদক মুহাম্মদ এসকান্দর প্রচার সম্পাদক শামশুল আলম, গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ্ব এসে গার্মেন্টস কর্মী নাসিরের লাশ এ্যমুলেন্স থেকে নামিয়ে গোসল করানোর পর লাশের কফিন পড়িয়ে নাসিরের লাশেঁর কফিন খাটিয়া করে বহন করে ফকির মোহাম্মদ চৌধুরী জামে মসজিদের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায় । প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নাসিরের লাশের কফিন সক খাটিয়া রেখে নাসিরের লাশের জানাজার নামাজে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ¦ আহসান হাবিব চৌধুরী নিজেই ইমামতি করে গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ্ব জানাজার নামাজে অংশ গ্রহন করেন । জানাজার নামাজ শেষে নাসিরের লাশের খাটিয়া বহন করে গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ্ব কবরে নিয়ে যায় । নাসিরের লাশ দাফন করে গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ্ব তাদের বাড়ীতে ফিরে যায় । করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে মৃত্যুবরনকারী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ জাফর হোসইন রুমিকে গত ঈদের দিনে রাউজানের বেরুলিয়ায় তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় । একই দিন রাউজানের চিকদাইর এলাকার বাসিন্দ্বা শহিদুল হক চট্টগ্রাম নগরীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার লাশ চিকদাইরে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় । রাউজানের গহিরা দলই নগর এলাকার বাসিন্দ্বা দৈনিক পুর্বকোণের কর্মচারী আরফাত চট্টগ্রাম নগরীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার লাশ রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর এলাকায় তার পারিবারিক কবরস্থানে ঈদের দিনে দাফন করা হয় । রাউজানে এপর্যন্ত করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৫জন। তারা সকলেই চট্টগ্রাম নগরীতে করেনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তাদের লাশ রাউজানে এনে দাফন করা হয় । রাউজানের পুর্ব গুজরা ইউনিয়ন ও পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন, হলদিয়া ইউনিয়নের ৬জন প্রবাসী করেনায় আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে মৃত্যুবরন করেন । ৬জন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর লাশ মধ্যপ্রাচ্যে দাফন করেন । রাউজানে এপর্যন্ত ২শত ৫০ জনের করোনা পরিক্ষা করা হয় । তার মধ্যে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার বাবুল সহ ১৮ জনের পজেটিভ রির্পোট আসে । রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ সহ অবশিষ্ট ১শত ৩২ জনের করোনা পরিক্ষার রিপোর্টে নেগেটিভ আসে বলে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায় । এদিকে রাউজানের মোহাম্মদপুর নুর আলী সারাংয়ের বাড়ীর বাসিন্দ্বা মরহুম ডাঃ আবুল কাসেমের মেজ পুত্র মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ মনজু করেনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে মৃত্যুবরন করেন । করেনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরনকারী মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের লাশ রাউজানের মোহাম্মদপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দ্বা গোলাম মামুন জাবু।